খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্কের আফিয়ন কোচাটেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোনমি এন্ড কালিনারি আর্টস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হুসেইন পামুুচ্চু। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনি উপাচার্যকে শিক্ষক এক্সচেঞ্জের অংশ হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং তুরস্কের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয় ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অর্থায়নের সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো অবহিত করেন।
উপাচার্য তাঁকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি রিসার্চ ফোকাসড ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। খুলনা অঞ্চলে গবেষণার বিষয় অনেক। বিশেষ করে সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য ট্যুরিজম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এতে চাকরিসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা প্রয়োজন। এই এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় তা সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একই সাথে আগামীতেও শিক্ষক-শিক্ষার্থী এক্সচেঞ্জের পরিসর আরও বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করেন। পরে উপাচার্য তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার দেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, দ্য অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এর পরিচালক প্রফেসর সেহরীশ খান, ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম, উপাচার্যের সঞ্জয় সাহা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ইরাসমাস প্লাস স্টাফ মোবিলিটি ফর টিচিং প্রোগ্রামের আওতায় ৭ দিনের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন তুরস্কের আফিয়ন কোচাটেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোনমি এন্ড কালিনারি আর্টস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হুসেইন পামুচ্চু। এই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দুটির মধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে গ্যাস্ট্রোনমি, ভ্রমণ, পর্যটন এবং অবকাশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে জ্ঞান আদান-প্রদানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এদিকে ড. হুসেইন পামুচ্চু আজ বিকাল ৩টায় ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে একটি সেমিনারে কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তৃতা করেন।