বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক আব্দুল খালেক বলেন, সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই দেশে মুল্যস্ফীতি এখন ভয়ানক রূপ ধারণ করেছে। তারা আসন্ন গণভ্যুত্থান থেকে বাঁচার জন্য আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দেশ বরেণ্য আলেম-উলামাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছে। তারা পাতানো ও ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো আওয়ামী লীগ ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়। কিন্তু সচেতন জনতা তাদের ওই স্বপ্নবিলাস কখনোই সফল ও স্বার্থক হতে দেবে না।’ তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গণদাবি মানতে সরকারকে বাধ্য করতে সকলকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নগরীর একটি মিলনায়তনে থানা আমীর, সভাপতি ও সেক্রেটারি সম্মেলন-২০২৩ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম ও প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকারের উপর্যুপরি অবৈধ ক্ষমতালিপ্সার কারণেই দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দেশে মূল্য পরিস্থিতি এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে গেলেও সরকারের সে বিষয়ে কোন মাথাব্যথা নেই বরং সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় সরকার সংশ্লিষ্টদের লাভবান করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে বাজার পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো হয়েছে। তারা বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্র, উন্নয়ন সহযোগি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পরামর্শে কোন কর্ণপাত করছে না। মূলত, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় না বলেই তারা এখন দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধেই রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর তাদের দাম্ভিকতার কারণেই এখন পতন অবশ্যাম্ভাবী হয়ে উঠেছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণও ঐক্যবদ্ধ। তাই দেশ, জাতি, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের স্বার্থেই এই অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসীবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ ও শেষ পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি নৈশ্য ভোটের সরকারের পতনের লক্ষ্যে দলমত, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, একটি ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। একদল সৎ ও যোগ্য লোক তৈরি করার মাধ্যমে সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবা করাই হচ্ছে আমাদের কাজ। তিনি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।