বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মাস্টার শফিকুল আলম বলেন, আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধে যার যতোটুকু অবদান ছিলো তাদেরকে যথাযথভাবে সম্মান দিয়েই এ দেশটাকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । তরুণ প্রজন্মকে একটা সুন্দর বাংলাদেশ দিতে না পারলে আগামীর প্রজন্ম আমাদেরকে কখনোই ক্ষমা করবেনা। আমাদের সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব এবং কর্তব্যের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রত্যেকে যার যার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে তবেই বিজয়ের সঠিক সুফল পাওয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ইসলামী শ্রমনীতি অনুসরণ না করার জন্য শ্রমিকরা আজ অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক ত্যাগ ও কুরবানির বিনিময়ে আমরা যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তা একমাত্র ইসলামিক আইন এবং শ্রমনীতি অনুসরণের মাধ্যমে আগামীতে অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। আমাদের অর্জিত বিজয় ধ্বংস করার জন্য একটি দেশ এবং রাষ্ট্রবিরোধী চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। তাই এই বিজয়কে ধরে রাখতে আমাদেরকে ময়দানে অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে খুলনা মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের
বর্ণাঢ্য রালী ও শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
নগরীর দৌলতপুর মিনাক্ষী মোড় থেকে র্যালীটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খালিশপুর নতুন রাস্তা মোড়ের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগরী সভাপতি মু. আজিজুল ইসলাম ফারাজী। সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহফুজুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরীর প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপদেষ্টা এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক খান গোলাম রসূল, অঞ্চল টিম সদস্য আল ফিদা, আজিজুর রহমান, ব্যবসায়ী থানা উপদেষ্টা আজিজুর রহমান স্বপন, খালিশপুর থানা উপদেষ্টা আব্দুল আওয়াল, বিএল কলেজের ভিপি এডভোকেট জাকিরুল ইসলাম, মুনসুর আলম চৌধুরী, দৌলতপুর থানা উপদেষ্টা মুশাররফ হোসেন আনসারী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরীর সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, কাজী মাহফুজুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক আল হাফিজ সোহাগ, আড়ংঘাটা থানা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহিনুর রহমান। এছাড়া শ্রমিক নেতা জাহিদুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল কাদের হাওলাদার, দবির উদ্দীন মোল্লা, হেলাল উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, আসিফ ইকবাল মাসুম, আলী হায়দার, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, বুলবুল কবীর, আব্দুল বারেক, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, বদরুর রশীদ মিন্টু, শিহাব উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
বিশেষ অতিথি এডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার এই বিপ্লব শত বছরের ইতিহাসের আরেকটি সেরা বিপ্লব। আমাদের এ বিজয় ঠেকাতে হত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। শেখ হাসিনার শাসনামলে ভাইয়ে ভাইয়ে বিভেদ তৈরি হয়েছে। জাতিকে করা হয়েছে বহুধাবিভক্ত। আর এই ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে দলমত নির্বিশেষে আমাদের মধ্যে এক নতুন সেতুবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমাদেরকে এই বিজয় ধরে রাখতে হবে। দেশ থেকে স্বৈরাচারের জঞ্জালমুক্ত করতে নতুন সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে। তাহলেই দেশে জন প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।