চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃওষুধ বিক্রির লাইসেন্স সরবরাহ ও নবায়নের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে খুলনার ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ ওষুধ সুপারের কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়। দুদকের খুলনা সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফয়সাল কাদিরের নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
দুদকের খুলনা সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফয়সাল কাদির জানান, অভিযানে ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় অনিয়মের জন্য বিভিন্ন আবেদনসহ রেজিস্টার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ সময় ওষুধ বিক্রির লাইসেন্স সরবরাহ ও নবায়নের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সুপারিশের কথাও উল্লেখ করেন দুদকের ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, খুলনা ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের অফিস থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার ড্রাগ লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এখান থেকে দেখভাল করা হয় একটি অ্যালোপ্যাথিকসহ ১৮০টি হোমিওপ্যাথিক, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি ওষুধ কোম্পানি। আর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়নে অনিয়ম ও নতুন লাইসেন্স প্রদানে আর্থিক সুবিধা নেয়া হয় এ দপ্তরের কর্মরত প্রধান সহকারীর নেতৃত্বে । খুলনা জেলা ও মহানগরী এলাকায় নিয়মিত মাসিক কালেকশন করে ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের পিয়ন থেকে শুরু করে উচ্চ কর্মকর্তা এ অবৈধ অর্থের ভাগ পেয়ে থাকেন । খুলনা ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের কয়েকজন চিহৃিত দুর্ণীতিবাজ কর্মকর্তার ও কর্মচারী রয়েছেন তাদের আয়ের সাথে ব্যায়ের কোন সংগতি নেই । এ সকল অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের নামে বেনামে রয়েছে জ্ঞাত আয় বহিভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ । দুদকের অভিযানে দুর্নীতির এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।