চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ৬নং যোগিপোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি আছে ঘর নাই প্রকল্প, ভিজিডি কার্ডের তালিকা তৈরি ও ইউনিয়নের আয়ের বিভিন্ন খাতের হিসাব উপস্থাপন না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অনাস্থা দিয়েছেন ১০ জন ইউপি সদস্য (মেম্বর)।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুরে তারা উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. গোলাম সরোয়ার খানের কাছে এ গণ অনাস্থার লিখিত আবেদনপত্র জমা দেয়। এছাড়াও সেই কপি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার খুলনার উপ-পরিচালক ও খুলনার দুর্নীতি দমন কমিশন পরিচালকের কাছে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
অনাস্থা দেওয়া ইউপি সদস্যরা হলেন, ফিরোজা বেগম, হাফিজা বেগম, কাজী শহিদুল ইসলাম, গাজী কবির হোসেন, আবুসাঈদ হাওলাদার, শেখ গোলাম কিবরিয়া, রফিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, আমিরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম।
লিখিত গণ অনাস্থায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় “জমি আছে ঘর নাই”প্রকল্পের ও ভিজিডি কার্ডের তালিকায় অনিয়ম, ইউনিয়নের হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে আদায়কৃত অর্থ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের আদায়কৃত ফি, প্রত্যয়ন পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স বিক্রয় কৃত অর্থ ও জমি নিবন্ধনের ১% কমিশন থেকে প্রাপ্ত অর্থের হিসাব মাসিক সভা অথবা অনানুষ্ঠানিক কোন সভায় উপস্থাপন না করা ও বিভিন্ন অজুহাতে ইউপি সদস্য ও সদস্যাগণের কাছ থেকে রাস্তাঘাটে/বাড়িতে ব্যস্ততা দেখিয়ে অ-দাপ্তরিক স্বাক্ষর নেওয়া, চেয়ারম্যানের চরম স্বেচ্ছাচারিতা, অ-জবাবদিহিতামূলক আচরণ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে বিতর্কিত ব্যাক্তিকে সরকারি দায়িত্ব না দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
অনাস্থার লিখিত অভিযোগ বলা হয়েছে,’ ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের সুনামধন্য ঐতিহ্যবাহী জনগণের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ায় তাদের এই সিদ্ধান্ত। চেয়ারম্যানের এ সকল কর্মকাণ্ডের দায়-দায়িত্ব ইউপি সদস্য নিতে চায় না।
অভিযোগ মেম্বররা বলছেন, ইউনিয়ন পরিষদের সুনাম ও আমাদের সত্ত্বাকে একজন ব্যক্তির জন্য বিকিয়ে দিতে পারি না। তাই আমরা ইউনিয়নের মেম্বরগণ চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করছি।
এ ব্যাপারে যোগিপোল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যানের দীর্ঘদিনের কর্মকাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন সদস্য ইউনিয়নবাসীর স্বার্থে জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।‘
যোগিপোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তারা কোথাও কোন অভিযোগ দিয়েছে কি-না তা আমার জানা নাই।
দিঘলিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-উল-আসাদ বলেন, ‘এ অভিযোগ পত্র হাতে এখনো আমার হাতে পৌঁছায়নি। হাতে পেলে তদন্ত করা হবে।