খুলনার সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চুরি যাওয়া ২১টি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসাথে চুরির সঙ্গে জড়িত মূল আসামিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চুরি হওয়া ল্যাপটপ ফেরত পেয়ে পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. শাকিলুজ্জামান। তিনি বলেন, চুরির পর ল্যাপটপগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে দেয়া হয়। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে এ ল্যাপটপগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ৬ জুলাই মডেল স্কুল থেকে ২১টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনার পরদিন ৭ জুলাই প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন শেখ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এরপর সদর থানা পুলিশ কম্পিউটার ও ল্যাপটপ চুরির সংঘবদ্ধ চক্রের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রযুক্তির সহায়তায় চুরি হওয়া ল্যাপটপ সম্পর্কিত তথ্য হাতে আসে পুলিশের। এরপর অভিযান চালিয়ে মো. দিদারুল ইসলাম (২১) ও মো. রবিউল ইসলাম (২৯) নামে সন্দেহভাজন দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া দুটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। এ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদে চুরির বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে মূল আসামি মো. মাহবুব খাঁসহ, অপর আরও দুই আসামি মো. সজীব পিয়াদা (২৮) ও সাজু আহম্মেদ মুন্নাকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়।
পাঁচ আসামির মধ্যে সজীব পিয়াদা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। চার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আসামি সাজু আহম্মেদ মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হবে। অপরদিকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন শেখ বলেন, ল্যাপটপগুলো চুরি হওয়ার পর থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা কাজ করছিল। আমাদের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। পুনরায় ল্যাপটপগুলো ফেরত পাওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। পুলিশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আহসান উল্লাহ শরিফী, সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. হাফিজুর রহমানসহ পুলিশ ও স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ।