দর্শক শূন্যতার আশঙ্কা নিয়েই খুলছে খুলনার চারটি সিনেমা হলের মধ্যে তিনটি। ভালো মানের ছবির অভাবে সিনেমা হলগুলো দর্শক হারিয়েছে অনেক আগে থেকে। এর মধ্যে দেশে করোনার হানায় সরকার বন্ধ করেছে দেশের সব সিনেমা হল।
দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পর শর্ত সাপেক্ষে আজ থেকে চালু হচ্ছে দেশের সকল সিনেমা হল। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনার তিনটি সিনেমা হলে শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে তিনটি ভিন্ন ছায়াছবি। সিনেমা হলগুলো হচ্ছে, সঙ্গীতা, চিত্রালী ও লিবার্টি সিনেপ্লেক্স।
সঙ্গীতা সিনেমা হলে শুক্রবার প্রদর্শিত হবে ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছায়াছবি ‘জোর করে ভালবাসা হয় না’। এ সিনেমা হলে দর্শক আসন সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ৩শ’। তবে হল কর্তৃপক্ষ বলছে করোনার কারণে ১৩জন দর্শক আসবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কায় আছেন। হলের স্টাফ মোঃ বাবু বলেন, করোনার কারণে এ বছর তেমন কোন নতুন ছবি মুক্তি পায়নি। তাই পুরনো ছবি আনা হয়েছে। হলে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে।
চিত্রালী সিনেমা হলের পরিচালক তপু খান জানান, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই দীর্ঘ সাত মাস পর হল খোলা হচ্ছে। হিরো আলমের অনুরোধেও এ বছরের নতুন ছবি হওয়ায় এ হলে সাহসী হিরো আলম নামক ছায়াছবি মুক্তি পাচ্ছে।
লিবার্টি সিনেপ্লেক্সের সত্বাধিকারী মোঃ শাজাহান আলী জানান, করোনার কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কোন সহযোগিতা পাইনি। করোনা মহামারির কারণে সকল বিনোদন স্পট জনশূন্য। আর ভালো মানের ছবি না থাকায় সিনেমা হলগুলো দর্শক হারাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দু-চারদিন দেখি, যদি হলে দর্শক না আসে তাহলে আবার বন্ধ করে দেব।
উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সিনেমা হলের আসন সংখ্যার কমপক্ষে অর্ধেক খালি রাখা সাপেক্ষে গত বুধবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ অনুমতি দেয়া হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক-তথ্য ও জনসংযোগ মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে চলচ্চিত্র অঙ্গনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ১৬ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।