চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনার রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে খানজাহান আলী রোডের কলেজিয়েট গার্লস স্কুল অ্যান্ড উইমেন কলেজ পর্যন্ত ৭৩টি দোকান উচ্ছেদে কেসিসি’র সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী খানজাহান আলী রোডে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের পুনর্বাসন ছাড়া দোকান উচ্ছেদ না করার দাবি জানান। একই দাবিতে তারা বুধবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে উচ্ছেদের অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ৩১টি দোকান লাল চিহ্ন দিয়ে শনাক্তকরণ করা হয়। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিংও করা হয় কেসিসি’র পক্ষ থেকে।
এদিকে, দোকান উচ্ছেদের সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে তাদের একমাত্র আয়ের উৎস ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ হয়ে গেলে অনেকেরই পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসার উপক্রম হবে বলেও আশঙ্কা তাদের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৯৬৭-৬৮ সাল থেকে পৌরসভা হতে বরাদ্দ নিয়ে তারা এখানে ব্যবসা করছেন। অনেকের স্থায়ী ঠিকানায় পরিণত হয়েছে এটি। করোনার কারণে দীর্ঘ প্রায় চার মাস তাদের আয়-উপার্জন বন্ধ। সরকারের কাছে দাবি করেছিলেন বিকল্প কোথাও পুনর্বাসনের। কিন্তু সে দাবি হয়েছে উপেক্ষিত।
দোকান মালিক চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ বলেন, কেসিসি থেকে একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে দীর্ঘ অর্ধশত বছর ধরে বংশ পরম্পরায় ৭৩ জন ব্যবসায়ী এখানে ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রের সামনের ৩১টি দোকান উচ্ছেদের জন্য লাল চিহ্ন দিয়ে মাইকিং করা হয়। এ উচ্ছেদ বন্ধ করতে তারা কেসিসি মেয়রের কাছে আবেদন করেছেন।
এদিকে, উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে রূপসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্সূচিতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক বাদল মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী শাহ আলম, নূর ইসলাম লিটন, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, মোহাম্মদ মুন্না, মোহাম্মদ রাসেল, মো. রুবেল প্রমুখ।