পুলিশি অভিযানে বটিয়াঘাটা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের নেতারা। তাদেরকে ২২ নভেম্বর খুলনা থানায় পুলিশের দায়ের করা সহিংসতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বটিয়াঘাটা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফারুক হোসেন, নুরুল ইসলাম মামুন, মিজানুর রহমান মিজান, নূর ইসলাম, আহাদ, হেমায়েত হাওলাদার, আলমগীর, আনসার, আব্দুস সামাদ, জাকির হোসেন ও বাঘা।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বলেন, খুলনা বিএনপির পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেপ্তারদের মুক্তি, পুলিশি অভিযানের নামে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানাই। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সোমবার দিনগত রাতে খুলনা থানা পুলিশ নিজস্ব এলাকার বাইরে গিয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে বটিয়াঘাটা থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িবাড়ি গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সকালে ঘটনার বিষয়ে জানতে লবনচরা ও হরিণটানা থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা অভিযান প্রসঙ্গে কিছু জানেন না বলে জানান। খুলনা থানা পুলিশ ২২ নভেম্বরের সহিংসতা মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
বিএনপি নেতা তুহিন বলেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর জলমা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি আনুষ্ঠাকিভাবে স্থানীয় সরাকর পরিষদের এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে স্বতন্ত্রভাবে অনেকেই নির্বাচন করছেন, যাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীরা সমর্থন দিচ্ছেন। তাদের পক্ষে প্রচার প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান আশিকের পক্ষে দলীয় অনেক নেতাকর্মীই কাজ করছেন। শাসক দল সমর্থিত প্রার্থীকে সুবিধা দিতেই পুলিশ প্রশাসন এমন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সকল নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। ২৯৩ জন বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছেন। আমরা পুলিশকে সব ধরনের অপততপরতা বন্ধ করার আহবান জানাচ্ছি। আমাদের কর্মীদের বিনা কারণে নিরাপত্তাহীন করা হলে আমরা কঠোর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব।
এ সময় বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স ম আব্দুর রহমান, আজিজুল হাসান দুলু, মুর্শিদ কামাল, কে এম হুমায়ুন কবির, এহতেশামুল হক শাওন, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শামীম কবির, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, রফিকুল ইসলাম বাবু, জাহিদুর রহমান রাজু, জাকির ইকবাল বাপ্পী প্রমুখ।