চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ স্বাস্থবিধি ও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা না মেনে চলায় খুলনায় করোনা আক্রান্ত রোগির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল পর্যন্তও খুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২০৬। আজ তা একলাফে বৃদ্ধি পেয়ে ১৩৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। জেলা প্রশাসন ২৫ জুন পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার আদেশ দিলেও বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। নগরীর বিভিন্ন স্থানে অনেক দোকানী প্রশাসনের লোকজন দেখলে দোকানের সাটার বন্ধ রাখছে। প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে সাটার অর্ধেক টেনে বেচাকেনা করছে। শহরে প্রায় সকলের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব ঠিকমত মানা হচ্ছে না। বড় বাজার বন্ধ থাকলেও মানুষ চলাচলের কোন শেষ নেই। এই মানুষগুলো বাজারের ভিতর দিয়ে গাদাগাদি করে হাঁটছে। প্রশ্ন কোথায় যাচ্ছেন তারা?
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, “খুলনার মানুষ সচেতন নন, তারা স্বাস্থবিধি না মানায় এভাবে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।”
বড় বাজারের হেরাজ মার্কেটে ওষুধ কিনতে আসা মুস্তাকিম হোসেন জানান, “বিকেল ৪টার পর সব বন্ধ এটা নিঃসন্দেহে ভাল উদ্যোগ কিন্তু ভোর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মানুষের এত ভিড় এসময় কি করোনা ঘুমায়? তাহলে আমরা কি করছি আমরা নিজেরাই জানি না।”
মটর সাইকেল পার্টস গলিমুখে পাওয়া আজিম শেখ বলেন, প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী ২৫ জুন পর্যন্ত মার্কেট বন্ধ রাখতে হবে। তাই আমরাও কৌশল নিয়ে সামাজিক দুরত্ব ঠিক রেখে হালকা বেচা কেনা চালিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মানা ও সামাজিক দুরত্ব পালনের একটি মহড়া হচ্ছে। যাতে ২৬ জুন থেকে দোকান বন্ধের ঘোষণা আর না বাড়ানো হয়।
ডাকবাংলা মোড়ের হার্ডমেটাল গ্যালারীর সামনে দাড়িয়ে থাকা কর্মীরা জানান, ২/১টি কাষ্টমার পেলে কমিশন ভিত্তিতে টাকা পাওয়া যাবে। এছাড়া বেচা কেনা না হলেতো মালিক বেতন ভাতা দেয় না। এখন করেনার মধ্যে তাই কমিশন পদ্ধতি চালু হয়েছে। এ কমিশন পেতে রাস্তায় দাড়িয়ে এভাবেই ক্রেতা খুঁজতে হচ্ছে।
খুলনায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির গত ২২ জুনে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ২৬ জুন থেকে খুলনার শপিং মল, দোকান পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে ৩দিন (রবি, সোম ও মঙ্গলবার) বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক ৩৭৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। খুলনার নমুনা সংগ্রহ ছিল ৩৫০টি, পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১৭২টির, তার মধ্যে শুধুমাত্র খুলনার পজিটিভ আছে ১৫৬টি এর মধ্যে ফলোআপ রিপোর্ট আছে ৮টি, যশোরের নতুন ১টি, ফলোআপ আছে ২টি, এছাড়া বাগেরহাটের ৪টি ও নড়াইলের ১টি পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।