চার দফা দাবিতে খুলনার বাস মালিক-শ্রমিকরা যৌথভাবে সড়ক অবরোধ করেছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় খুলনার জিরো পয়েন্টে এ অবোরোধ কর্মসূচী পালিত হয়।
পরে পুলিশের আশ্বাসে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
তাদের দাবিনামা হলো-বিআরটিএ বাস ডিপো-টু-ডিপো যাত্রীবহনের নিয়ম থাকলেও তারা তা করছে না। তারা অবৈধ পন্থায় খুলনা, সাতক্ষীরা, কালিগঞ্জ, শ্যামনগরের লোকাল যাত্রী বহন করছে। এ নিয়ে অন্য কোম্পানীর বাস শ্রমিকদের সাথে প্রায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। অবিলম্বে বিআরটিএ বাস নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীবহন করবে। সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জের কিছু অবৈধ মাইক্রোবাস (মাছের টায়ার গাড়ি হিসেবে পরিচিত) লোকাল যাত্রী টানাটানি ও বহন করে। এ নিয়ে বাস শ্রমিকদের সাথে প্রায় দ্বন্দ্ব হয়। তাদের যাত্রীবহন বন্ধ করতে হবে। থ্রী-হুইলার ও মাহেন্দ্রা জেলার ভিতরে চলার কথা থাকলেও তারা মেট্রোর ভিতরে ঢুকে (খুবির সামনে, পেট্রোল পাম্পের সামনে, জিরো পয়েন্ট) অবৈধভাবে যাত্রী তুলে তা চুকনগর, আঠারো মাইল, সাতক্ষীরায় চলাচল করে। এ নিয়ে বাস শ্রমিকদের সাথে থ্রি-হুইলার চালকদের দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে।
বিষয়টি একাধিকবার প্রশাসনকে জানালেও কোন সুফল বয়ে আনেনি। থ্রীহুইলার চালকদের অবৈধভাবে যাত্রী বহন বন্ধ করতে হবে। হাইকোট কর্তৃক দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ১০টি জেলায় স্ব-স্ব জেলা প্রশাসককে সড়কে অবৈধ যান চলাচলে বন্ধের নির্দেশ দেন। সড়কে শৃংখলা ফেরাতে অবিলম্বে সেই আদেশের বাস্তবায়ন চায় বাস মালিকরা। অন্যথায় ক্ষুব্দ বাস মালিক-শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দিলে মালিক সমিতি বা শ্রমিক ইউনিয়ন দায় ভার বহন করবে না। এ জন্য প্রশাসন দায়ী থ্কাবে।
খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির স্টাফ শেখ সরওয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, সকালে জিরো পয়েন্টে থ্রি-হুইলার চালকরা বাসে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে বাসের সুপার ভাইজার ও হেলপারকে মারধর করে। খবর পেয়ে উত্তেজিত বাস মালিক ও শ্রমিকরা ঘটনাস্থলে যান ও তাৎক্ষণিক বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং সড়ক অবরোধ করেন।
এ সময় হরিণটানা ও লবণচরা থানার ওসি এসে তাদের সাথে কথা বলেন। তারা উধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা তাদের অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।