খুলনায় ভূমিসেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ও আলোচনা সভা আজ (মঙ্গলবার) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, অল্প জমিতে অধিক মানুষের এই দেশে ভূমির বহুমাত্রিক ব্যবহার হচ্ছে। মানুষকে নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হয়। এক্ষেত্রে সকল ভোগান্তি দূর করতে বিষয়টিকে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন এক বাস্তবতার নাম। প্রশাসন এখন সেবামূখী। ভূমি অধিগ্রহণের টাকা এখন ভোগান্তিহীন পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্টে চলে যায়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত খুলনা জেলায় ভূমিসেবা সপ্তাহ পালন করা হবে। ভূমিসেবা সপ্তাহে সকল সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়, ইউনিয়ন-পৌর ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্রগুলোকে সম্পৃক্ত করে ভূমি বিষয়ক তথ্য প্রচার ও ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে প্রদানের রেজিস্ট্রেশন এবং ভূমিসেবা প্রদানের জন্য বিশেষ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। সেবা সমূহের মধ্যে রয়েছে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, ই-নামজারি, নিষ্পত্তি হওয়া ভূমি অধিগ্রহণের চেক প্রদান, খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি আবেদনের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রদানসহ সকল তথ্যগত সেবা। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বিগত তিন বছরে খুলনা জেলা প্রশাসন তিনশত ৬০ একর খাস জমি অবৈধ দখলদার থেকে উদ্ধার করেছে। অনলাইন ডিজিটাল ভূমি ব্যাংক তৈরি করে জেলার সকল সরকারি খাস জমির ছবিসহ তথ্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে। খুলনা জেলায় ইতোমধ্যে সিএস খতিয়ানের দুই লাখ ৩২ হাজার আটশত ৬৭টি এবং এসএ খতিয়ানের দুই লাখ ৩০ হাজার ছয়শত ৪৮টি ডাটাএন্ট্রি ও আর্কাইভের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। চলমান অর্থবছরে জেলায় এ পর্যন্ত ৪১ হাজার নয়শত একটি ই-মিউটেশন অনলাইনে নিষ্পত্তি হয়েছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) সুবাস চন্দ্র সাহা, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন এবং সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছাঃ শাহানাজ পারভীন। খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠান শেষে বিভাগীয় কমিশনার সংশ্লিষ্টদের কাছে ই-পর্চা, ই-মিউটেশন পর্চা ও এলএ চেক হস্তান্তর করেন।