করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনা মহানগরীর তিন থানা ও রূপসা উপজেলা এলাকায় আজ শুক্রবার সকাল থেকে সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধি-নিষেধ শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত খুলনা জেলা কমিটির সিন্ধান্ত অনুযায়ী এ বিধি-নিষেধ চলছে। কঠোর এ বিধি-নিষেধের প্রথম দিন সকাল থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে প্রশাসন। এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে এ বিষয়ে জনগণকে অবহিত ও সচেতন করা হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণের আধিক্য বিবেচনায় খুলনা মহানগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা, ও খালিশপুর থানা এবং রূপসা উপজেলায় জরুরী সেবা ব্যতীত সব দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত খুলনা জেলা কমিটির সিন্ধান্ত অনুযায়ী বিধি-নিষেধ চলাকালীন কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান ও ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করতে হবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। হোটেল-রেঁস্তোরাগুলো পার্সেল অথবা প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। সন্ধ্যার পর কোন রাস্তার মোড়ে বা স্থানে একের অধিক ব্যক্তি অবস্থান করা বা একসঙ্গে চলাফেরা করতে পারবে না।
এদিকে, শুক্রবার বিভিন্ন কাঁচা বাজারে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি, শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখা হয়নি। ওষুধের দোকাগুলোতেও মাক্স বিহীন ক্রেতা দেখা যায়। এদিন নগরীর রাস্তাঘাটে লোক সমাগম কম থাকলেও যারা পথে বের হয়েছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে চলেন।
বিধি-নিষেধ অনুযায়ী রূপসা উপজেলার রূপসা খেয়াঘাট, আইচগাতি খেয়াঘাট এবং উপজেলার বাজার ও দোকানপাটগুলোতে জনসমাগম করা যাবে না। উপজেলা সদরের ওষুধ, কাঁচাবাজার ও খাদ্যসামগ্রীর দোকান ব্যতীত অন্য সব দোকান ও মার্কেট বন্ধ থাকবে। মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। প্রশাসন এখানেও বিষয়টি তদারকি করছে।
এদিকে, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক করোনা সংক্রমণ ও প্রতিরোধ কমিটি কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে নগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান এবং মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি আরোপিত বিধি-নিষেধ মেনে চলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।