খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির জুলাই মাসের সভা আজ (রবিবার) সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলীর সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষ থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, খুলনা মহানগরীতে পাঁচটি কেন্দ্রসহ সকল উপজেলায় করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলমান আছে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে পশুর হাটগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি পালন শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। মসজিদে ঈদের জামাতে বৃহৎ জনসমাবেশকালে দরজা-জানালা বন্ধ রেখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র ব্যবহার করলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকবে। তাই জামাত চালাকালে দরজা-জানালা খোলা রেখে নামাজ আদায়কে উৎসাহিত করতে হবে।
বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশনের বাইরে থাকা শ্রমিকদের জন্য ভ্যাকসিন প্রদান নিশ্চিতে বিশেষ ক্যাম্প আয়োজনের বিষয়ে সভার দৃষ্টি আর্কষণ করেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মাদ বাবুল হোসেন জানান, এবছর বোরো মৌসুমে খুলনা জেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার পাঁচশত ২২ মেট্রিক টনের বিপরীতে এপর্যন্ত ১৬ হাজার মেট্রিক টনের অধিক চাল সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) খুলনা এর উপমহাব্যবস্থাপক আবির হোসেন জানান, খুলনায় বর্তমানে এক হাজার আটশত ১০ মেট্রিক টন শিল্প লবণ মজুদ রয়েছে। যা আসন্ন কোরবানির ঈদে পশুর চামড়া সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় লবণের চাহিদার চেয়ে বেশি। জেলায় বর্তমানে ভোজ্য লবণের মজুদ দুই হাজার ১০ মেট্রিক টন।
সভাপতির বক্তৃতায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলী বৃহৎ জনসমাবেশ পরিহার ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে মসজিদে ঈদের নামাজের একাধিক জামাত করার পরার্মশ দেন। এছাড়া খালিশপুরে নির্মাণাধীন আটশত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত বিদেশী নাগরিক ও প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিতে টহল বৃদ্ধির জন্য আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান।
সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্যরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।