অনলাইন ডেস্কঃখুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগের মাধ্যমে পদ্মা সেতু ও পদ্মা রেল প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে। এটি খুলনাবাসীর জন্য উপহার স্বরূপ। পদ্মা সেতু চালু হলে সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটন খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। দেখা দিবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক কর্মচাঞ্চলতা। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“ত বাস্তবায়নাধীন তেরখাদা অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ এ অঞ্চলে গড়ে উঠবে বহু ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। মোংলা বন্দরের ব্যবহারও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, বর্তমানে তার নির্বাচনী এলাকায় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ কয়েকশ’ শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মৎস্য রপ্তানির ৮০ ভাগই আমার নির্বাচনী এলাকায় গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠান থেকে রপ্তানি হয়ে থাকে। ফলে প্রস্তাবিত ‘‘খুলনা সিটি কর্পোরেশনের এই জনগুরুত্বপূর্ণ আউটার বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি’’ দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন। সড়কটি নির্মিত হলে আমার নির্বাচনী এলাকা ছাড়াও যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া জেলাসহ উত্তরবঙ্গের সাথে মোংলা বন্দর এবং ঢাকার সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। শিল্পনগরী খুলনা ফিরে পাবে তার অতীত ঐতিহ্য। তিনি জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গতকাল সংসদে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি কেডিএ প্রস্তাবিত জনগুরুত্বপূর্ণ ‘‘খুলনা সিটি আউটার বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্প’’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। তিনি বলেন, তার নির্বাচনী এলাকা রূপসা, তেরখাদা এবং দিঘলিয়া উপজেলা তিনটি ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে খুলনা জেলা সদর থেকে নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের শিরোমনি বাদামতলা ঘাট হয়ে দিঘলিয়ার পানিগাতি, চন্দনীমহল, বারাকপুর, আড়–য়া, রূপসার আইচগাতির ষোলপুর, যুগিহাটী, শ্রীফলতলার নন্দনপুর হয়ে খুলনা-ঢাকা মহাসড়ক এবং মোংলা বন্দরের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনার শিরোমনি বাদামতলা ঘাটে ভৈরব নদীর উপর একটি ব্রীজ, দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের আড়–য়ার আত্রাই নদীর উপর একটি ব্রীজ এবং রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের নন্দনপুর আঠারবেকী নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণসহ ৪ (চার) লেন বিশিষ্ট খুলনা সিটি আউটার বাইপাস সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।