দেশ ব্যাপী হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে এবং দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে শনিবার খুলনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন খুলনা মহানগর ও জেলা কমিটি নগরীর শিববাড়ি মোড়ে বেলা ১১টায় এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। উক্ত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা সুজনের সম্পাদক এড. কুদরত ই খুদা।
সুজন মহানগর কমিটির নেতা এস এম সোহরাব হোসেনের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন ও অংশ নেন সুজনের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রঞ্জু, বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, পেইভ-এ আঞ্চলিক সমন্বয়কারী নিজাম উর রহমান লালু, কেসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা এসকেএম তাছাদুজ্জামান, সুজন খালিশপুর থানা কমিটির সভাপতি ডাঃ সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, সম্পাদক খলিলুর রহমান সুমন, নাগরিক নেতা আঃ হালিম, এ্যাম্বাসেডর আশরাফ হোসেন, আলহাজ্ব তাহেরুল আলম চৌধুরী, শেখ আইনুল হক, আফরোজা খানম, একুশের আলো খুলনার প্রধান মাহবুবুল হক, সুলতানা খুকু, এড. আরিফা খাতুন, এম রুহুল আমিন, খন্দকার খলিলুর রহমান, রাবেয়া বসরিন তমা প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, দেশে জমা থাকা ৫৩ বছরের আবর্জনা দুর করা হোক। দুঃশ্সানের যে সমস্ত আইন সংবিধানে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা পরিবর্তন করতে হবে। আগামী দিনের সকল বৈষম্য দুর করে সুশাসনের রাষ্ট্র হোক সেই দাবি করেন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সফল যেন কোন রকম বিনষ্ট না হয় সে দিকে সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এদেশে কিছু কুচক্রীমহল এ সুযোগে দেশে বিশৃংখলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। এরা দেশ ও জাতীর শত্রু। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মানের দাবি জানানো হয়। মানুষ তার বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। ফিরে পেয়েছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। এ সময় বক্তারা বন্যার্তদের সাহায্যে সকলের হাতকে প্রসারিত করার আহবান জানান। একই সাথে রাষ্ট্র বিনির্মানে নিহত শিক্ষার্থী-জনতার আত্নার শান্তি ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনা করা হয়।