আমলকী স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গর্ভাবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের শরীরে একাধিক পরিবর্তন হয়, যার কারণে খাওয়ার রুচি চলে যায়।
এ সময় আমলকী ও টকজাতীয় ফল খেতে পছন্দ করেন অনেক অন্তঃসত্ত্বা। গর্ভাবস্থায় আমলকী খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী।
এ সময় আমলকী খেলে যত উপকার-
১. আমলকীতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর উপাদান গর্ভাবস্থায় হয়ে থাকা সাধারণ জ্বর ও মূত্রনালির সংক্রমণ রোধ করে।
২. বেশিরভাগ হবু মা এ সময় ক্লান্তি অনুভব করেন, অলসতা অনুভব হয়, বমি বমি ভাব আসে, কোনো কাজ করতে ইচ্ছে করে না এবং মেজাজও ভালো থাকে না। এ সময় আমলকীর রস বেশ ফলদায়ক।
৩. আমলকীতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এটি আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টি শোষণেও সহায়তা করে এবং হজমশক্তি বাড়ায়।
৪. অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেকের হাত-পায়ে পানি আসে। আমলকী গর্ভাবস্থায় হাত–পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। আমলকীতে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এ ছাড়া আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান থাকায় এটি দেহকে হাইড্ৰেট রাখতে সাহায্য করে।
৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে আমলকী। আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি রক্তনালিগুলোকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে, যা স্বাভাবিক রক্তচাপ ধরে রাখে এবং রক্তচাপ বাড়তে দেয় না।
৬. গর্ভাবস্থায় মাড়ি থেকে রক্ত বের হয় অনেকের। ফলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ আসে। আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি এ দুই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৭. ডায়াবেটিস না থাকলেও গর্ভাবস্থায় অনেকের ডায়াবেটিস দেখা দেয়। যেটিকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলে। গর্ভাবস্থার হরমোনগুলো ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে ডায়াবেটিস হয়। আমলকীর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান মায়েদের মধ্যে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
৮. আমলকীর জুস গর্ভস্থ শিশুটির স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় হবু মাকে আমলকী খেতে বলা হয়।
কীভাবে খাবেন
কাঁচা আমলকী খেতে পারেন মায়েরা। এ ছাড়া আমলকীর জুস করেও খাওয়া যায়। বাজারে আমলা ক্যান্ডি, জ্যাম, আচারও পাওয়া যায়।
রোজ একটি কিংবা দুটি করে আমলকীর টুকরো খেতে পারেন।