ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর বেশ নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দফায় দফায় বৈঠকে বসছে টিম ম্যানেজমেন্ট আর বিসিবি কর্তারা। বুধবার সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের গুলশানের বাসায় চলেছে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। ওই বৈঠক শেষে বিসিবি পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় জানিয়েছেন, এখনো কাউকে কোনও বার্তা দেওয়ার সময় হয়নি।
তিনি বলেন, ‘বার্তা তো আমাদের কাছে যাবে না, বার্তা তো আমরা দিবো। সেই বার্তাটা এখনও দেওয়ার সময় হয় নাই। বেশ কিছু জিনিস আছে আমাদের খেলোয়াড়দের অ্যাভেলেবিটি, সামনে আরও সিরিজ আছে সেই গুলোতে আমাদের বোর্ডের পলিসি কি হবে এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো কিছু হয় নাই।’
উইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা পোশাকে হারের পর মঙ্গলবারও বিসিবি কার্যালয়ে বৈঠক সেরেছেন নির্বাচকরা, সঙ্গে কয়েকজন বোর্ড পরিচালকও ছিলেন। বুধবারের বৈঠক ছিল খোদ সভাপতি পাপনের বাসায়। বিকেলে শেষ হওয়া সেই বৈঠকের কারণ সহজেই অনুমান করা যায়। ব্যর্থতার সঙ্গে আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফর। আর কি বিষয়ে কথা হয়েছে সেখানে?
টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক দুর্জয় বলেন, ‘ক্রিকেটার নিয়ে আলোচনা ছিল, আমরা খোলামেলা আলাপ আলোচনা করেছি। এর আগের কিছু সিরিজ, বাংলাদেশ দলের ব্যাপার ছিল। সেখানে আমাদের ডেভেলপমেন্ট, এইচপি সবকিছু নিয়েই আলোচনা ছিল। বিশেষ করে সম্প্রতি যেটা শেষ হলো সেই সিরিজ বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। সবকিছু নিয়েই আমাদের আলোচনা ছিল।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আপনারা প্রশ্ন করছেন আমরা কেন প্রস্তুতির জন্য বিসিএল বা আমাদের জাতীয় লিগ করিনি। আমরাও বলেছি যে আমাদের ইচ্ছা ছিল, বোর্ডের ইচ্ছা ছিল প্রস্তুতির জন্য লঙ্গার ভার্সনের একটা দুইটা ম্যাচ আয়োজন করা। কিন্তু সেখানে আমরা এটাও জানি যে এখন পরিস্থিতিটাও স্বাভাবিক না কোভিডের কারণে। জৈব সুরক্ষা বলয় যেন লম্বা না হয় এজন্য টিম ম্যানেজমেন্ট চাচ্ছিলো না এতদিন জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকি। সেখানে তো প্রস্তুতির ঘাটতিটা তো রয়ে গেল। তো সেই জিনিসগুলো সামনে আরও গভীরভাবে চিন্তা করবে টিম ম্যানেজম্যান্ট।’