চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা অধিদফতরের হেড কোয়ার্টারের ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। অবৈধ তিন কোটি আট লাখ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় এই আদেশ দেওয়া হয়। গতকাল রবিবার ঢাকার ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র স্পেশাল জজ আল মামুন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম জানান, রবিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে বজলুর রশিদকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ এ চৌধুরী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন
এর আগে অবৈধভাবে তিন কোটি আট লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল রবিবার দুপুরে দুদক পরিচালক মোঃ ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে বলে জানা গেছে। এ সময় উপ-পরিচালক মোঃ নাসির উদ্দিন ও সালাউদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রবিবার বেলা ১১টা থেকে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানোর অভিযোগে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি দুদকের নজরে আসে৷
জানা গেছে, ঘুষ-দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা অধিদফতরে পৃথক বৈঠক হয়। এরপর বিকালে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা বজলুর রশীদকে শোকজ করেন। যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। চিঠির স্মারক নং : ১৩৪৬।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘুষের টাকা লেনদেন করতে বজলুর রশীদ নিজের ঠিকানা গোপন করে স্ত্রীর নামে মোবাইল ফোনের সিম কেনেন। সরাসরি টাকা না পাঠিয়ে ঘুষ চ্যানেলের মাধ্যমে তিনি টাকার আদান-প্রদান করতেন। এর মধ্যে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা কুরিয়ার করার ২৪টি রশিদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে দুদকের অভিযোগপত্রে।