মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে সাগরে ভেসে ভারতীয় সীমানায় চলে গেলে সে দেশের কোস্টগার্ড বাংলাদেশী জেলেদের উদ্ধার করে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ নামে একটি শেল্টার হোমে রাখে।
পরে সেখান থেকে তাদের ফেরাতে প্রচেষ্টা চালায় বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশী নাগরিকত্ব যাচাই করে প্রথম ধাপে ৪০ জন বাংলাদেশী জেলেকে দেশে ফেরত পাঠালো ভারত। পরে আরও ২৬ জন জেলেকে দেশে হস্তান্তর করা হবে। ফেরত আসা ৪০ জন বাংলাদেশী জেলের বাড়ি বরগুনা ও পিরোজপুর জেলায়। দেশে ফেরার পর তাদের গ্রহণ করেছে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও।
এসময় ফেরত আসা জেলেরা জানান, তারা গত আগস্ট মাসে বরগুনা থেকে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। পরে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে সাগরে ডুবে যায় তাদের ট্রলার। ওই সময় তারা ৩৬ থেকে ৪০ ঘণ্টা সাগরে ভাসতে ভাসতে ভারতীয় সীমানায় চলে যান। একপর্যায়ে ভারতীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে। পরে ভারতীয় কোস্টগার্ডের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে শেল্টার হোমে পাঠায়।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ফিল্ড অফিসার রোকেয়া জানান, প্রথম দফায় ৪০ জেলেকে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। বাকি ২৬ জনকে পরে ফেরত পাঠাবে তারা। এছাড়া যারা ফিরেছেন, তাদের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠানো হবে।