আন্তর্জাতিক ডেস্কঃচাঁদকে ঘিরে ইকোনোমিক জোন বা অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিচ্ছে চীন। এই প্রকল্প ‘আর্থ-মুন ইকোনোমিক জোন’ নামে পরিচিত। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে ২০৫০ সালের মধ্যে বছরে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার আয় হবে চীনের।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য এপোচ টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লক্ষ্য অর্জনে চীনের প্রযুক্তিগত দক্ষতা রয়েছে। দেশটির উন্নত প্রযুক্তির বেশকিছু রকেট আছে। এর মধ্যে লং মার্চ-৫ উল্লেখযোগ্য। ২০২০ সালে চাঁদের স্যাম্পল সংগ্রহের এক অভিযানে এটি ব্যবহার করা হবে।
বর্তমান সময়ে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে সামরিক যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পরিবর্তে মহাকাশ নিয়ে এক ধরনের যুদ্ধে নেমেছে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এগিয়ে থাকা দেশগুলোই রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে চাঁদকে ঘিরে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার পথে অনেক দূর এগিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অ্যালন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স অন্যতম। এবার যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্লা দিতে একই ধরনের পরিকল্পনায় নামছে চীন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা চাপে পড়েছে।
চীন বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে আর্থ-মুন ইকোনোমিক জোন সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত হবে। তখন পৃথিবী থেকে মানুষ নিয়মিত চাঁদে যাবে অবসর কাটাতে। চীনের এই প্রকল্প কার্যকর হলে সত্যিকার অর্থেই যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে জায়গা করে নেবে চীন।
এ বিষয়টিই পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন চীনের সামরিক বিশেষজ্ঞ ওয়াং হুচেং। তিনি বলেন, ট্যাংক এবং প্লেন ব্যবহার পদ্ধতি অবলম্বন করে যারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে জয় পায়নি তারা এবার যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস সিস্টেমকে টার্গেট করে দেখতে পারে। স্পেস সিস্টেমকে টার্গেট করাই সবচেয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত।