একমাসের ভাড়া বাবদ বকেয়া মাত্র চার হাজার টাকা। ওই টাকা দিতে না পারায় শিশু সন্তানসহ ভাড়াটিয়াকে তিন দিন তালাবদ্ধ করে রাখেন বাড়িওয়ালা। এসময়ে ঘরের ভেতর থাকা বালতির পানিতে ডুবে মারা যান ভাড়াটিয়ার ছয় মাসের সন্তান। বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় সময়মত হাসপাতালে নেয়া যায়নি শিশুটিকে। তাই মারা গেছে সে, এমন অভিযোগ পরিবারটির।
ছয় মাস বয়সী বুকের মানিক চলে গেছে না ফেরার দেশে। তার স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে চোখের জল ফেলছেন মা তামান্না আর বাবা ইমাদুল হক। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে খুলনা নগরীর লবনচরা থানার রিয়াবাজার এলাকায় নওশের আলীর একতলা বাড়িতে থাকতেন কাঠমিস্ত্রি ইমাদুল। করোনার কারণে গেল ক’মাস ধরেই কাজ কম। বাড়িভাড়া দিতে পারেননি ডিসেম্বর মাসে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ১১ জানুয়ারি বাসার প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দেয় বাড়িওয়ালা শাহআলম। এসময় কাজের জন্য ইমাদুল ছিলেন মোংলায়। ১৩ জানুয়ারি দুপুরে সন্তানকে ঘরে রেখে ছাদে কাপড় তুলতে যান তামান্না। এসে দ্যাখেন বালতির পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে ছোট্ট নেলিহা।
তামান্নার চিৎকার-চেচামেচিতে ছুটে আসে এলাকাবাসী। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে সময় পেরিয়ে যায় বেশ খানিকটা। ততক্ষণে শিশু নেলিহার চোখ বুজে যায় চিরতরে।
ইমাদুলের দাবি, সন্তানের মৃত্যুর জন্য বাড়িওয়ালাকে দায়ী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে যান। তবে, পুলিশ সে অভিযোগ নেয়নি। থানায় অভিযোগ না নেয়ায় আদালতের বারান্দায় এখন অসহায় পরিবারটি। যদিও এমন কথা মানতে নারাজ লবণচরা থানার ওসি।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে বাড়িওয়ালা শাহআলম।