বাগেরহাটের চিতলমারীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান উচ্ছেদ অভিযানে শেখ হেলাল উদ্দীন একাডেমীর প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন ভেঙে দেওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। পর্যাপ্ত একাডেমিক ভবন না থাকায় বর্তমানে বিদ্যালয় মাঠের খোলা আকাশের নিচে চলছে শিক্ষার্থীদের প্রথম মূল্যায়ন পরীক্ষা। ফলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, চিতলমারীর সদর বাজারের প্রাণকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ অফিসের পিছনে ১৯৯০ সাল থেকে এলাকার শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে শেখ হেলাল উদ্দীন একাডেমি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া অঙ্গণে শেখ হেলাল উদ্দীন একাডেমির শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সুনাম রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘদিন ধরে তিনটি টিনসেড একাডেমিক ভবন ও একটি একতলা প্রশাসনিক ভবন ছিল। বিদ্যালয়টি চিতলমারী সদর বাজারের হক ক্যানেলের পাশে অবস্থিত হওয়ায় খাল খনন কাজের জন্য সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবন ভেঙে দেওয়া হয়। এতে চরম বিপাকে রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। বর্তমানে একাডেমিক ভবনের স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীরা চরম রোদ উপেক্ষা করে বিদ্যালয় চত্বরে গাছের নিচে বসে একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহন করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিভাবক জানান, ইচ্ছা করলে বিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন না ভেঙেও খাল খনন কাজ চালানো যেত। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একতরফা সিদ্ধান্তে বিদ্যালয়টি দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্থ হলো। তারা আরো বলেন ইতোপূর্বে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খাল খনের সময় দুপাড়ের অনেক অবৈধ স্থাপনা রেখেই খাল খনন করা হয়েছে। সে বিবেচনায় এই স্কুলটিও না ভেঙে পারা যেত বলে তারা অভিমত পোষণ করেণ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুখময় ঘরামী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজুবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র , বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গণে কৃতিত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে। শুধুমাত্র খাল খননের অজুহাতে এ ধরণের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন ভেঙ্গে দেওয়া সত্যিই দুঃখজনক। তিনি শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখার স্বার্থে পুনরায় একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।