ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন সংগঠনটির পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। এতে দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচিতে তারা যাবেন বলে ঘোষণা করেছেন।
শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এ কর্মসূচি পালন করেন নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনশন পালন শেষে পদপ্রত্যাশীরা জানান, আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা না হলে ওই দিনই পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন তারা।
অনশনে অংশ নেন- শেখ আল ফয়সাল, ঝলক মিয়া, মুতাছিম বিল্লাহ, ইবরাহিম খলিল ফিরোজ, শাহ আলম, জাকিউল ইসলাম শাহিন, সাইদ আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, এম এম মুসা, ওয়াসিম খান মুক্ত, গাজী মোহাম্মদ হারুনুজ্জামান, রোকনুজ্জামান, শাহরিয়ার ইমন, সাজিদ হাসান, মহসীন ভুইয়া, শরিফুল ইসলাম, বাহাউদ্দীন সোহেল, আতাউর রহমান বুলেট, মহিউদ্দিন ইকবালসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অন্তত শতাধিক পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মী।
দীর্ঘ ২৭ বছর পর ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফজলুর রহমান খোকন সভাপতি ও ইকবাল হোসেন শ্যামল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর তিন মাস পর ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর ছাত্রদলের ৬০ সদস্যের কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন সংগঠনটির পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা।
দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর এই দাবিতে ২১ জানুয়ারি ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। এতে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে পদপ্রত্যাশীদের স্মারকলিপি প্রদানের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে এরপর ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবকের সঙ্গে ভার্চুয়ালি আলোচনা করেন সংগঠনের শীর্ষ পাঁচ নেতা। সেখানে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও মহানগর ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পরই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটি প‚র্ণাঙ্গ করা হবে। কারণ এসব ইউনিট কমিটি থেকে বিভিন্ন কারণে যারা বাদ পড়বেন, যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের অনেককে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে ওই সব কমিটি গঠনের প্রচেষ্টাও অনেকটা থমকে আছে। কবে এসব কমিটি চ‚ড়ান্ত করা হবে তার কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না নেতাকর্মীরা। এতে নতুন করে আরও জটিলতা তৈরি হতে পারে। পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা যে কোনো সময় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারেন বলে আশঙ্কাও করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।