শাহজাহান সিরাজ, কয়রা(খুলনা) প্রতিনিধিঃ সকাল থেকেই ভটভট ও ট্রাকে করে এবং হেটে গরু নিয়ে আসতে থাকেন কৃষক ও খামারিরা। দুপুর গড়াতে না -গড়াতেই বিশাাল হাটের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত শুধু গরু আর গরু। কোথাও তিল ধরনের ঠাই নেই। কিন্তু সে তুলনায় করোনা পরিস্থিতির কারনে অন্যবারের তুলনায় হাটে ক্রেতার আনাগনা খুব কম। এ অবস্থায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে ক্রেতাশূন্য হাটেও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বেশির ভাগ মানুষ। ঘুগরাকাঠির হাটে গিয়ে দেখা গেছে শুয়ে , বসে গল্প আড্ডায় সময় কাটাচ্ছেন পশু ব্যবসায়ীরা। সরকারের পক্ষ থেকে হাটে ক্রেতা –বিক্রেতাদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা থাকলেও তাতে গরজ নেই অনেকের। তাদের কাছে করোন যেন কিচ্ছুনা। হাটে আসা অনেক ক্রেতাদের মুখে মাক্স থাকলেও ব্যসায়ীদের মুখ খালি । অনেক ব্যবসায়ীর মাক্স আবার নাক ও মুখের বদলে থুতনিতে ঝুলছে। হাটের মূল প্রবেশের পাশে যে স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটা অব্যবহ্নত পড়ে ছিল । গতকাল ঘুগরাকাটি হাটে ৮১ টি বড় আকারের গরু এসেছে। একেকটির দাম হাঁকা হচ্ছে দেড় লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা। ব্যসসায়ী নজরুল বলেন, হাটে ক্রেতা নেই। অনেকে দাম জানতে চায়, কিন্তু কোন দরদাম করেন্ াদাম শুনে চলে যায়। এর কেউ কেউ করলেও ৭০ /৮০ হাজার টাকা। তালা থেকে ১৫ টি অষ্ট্রেলিয়ান সংকর জাতের ষাড় নিযে এসেছেন ব্যবসায়ী আসমত আলী। তার খামারে পালন করা ১২ মন ওজনের গরুর দাম চাইছেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। ওই গরুর দাম ১লাখ ২০ হাজার টাকা উঠেছে বলে জানান তিনি। এই দামে বিক্রি করলে লোকসান হবে। আবার খামারে সাতটা গরু রেখে দিলেও লোকসান হবে। আর এ অবস্থায় চলতে থাকলে মরণ ছাড়া গতি নেই তাই এবার মরণ ছাড়া কোন গতি নেই। বৃহস্পতিবার গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে হাট ভর্তি গরু। কিন্তু ক্রেতা খুব একটা নেই। বেচাকেনাও কম। বিক্রেতারা বলছেন করোনা সংক্রমনের কারনে এবার মাথায় হাত তাদের। দুরদুরান্ত থেকে ব্যাপারী ও ক্রেতা আসতে পারিনি। তাই গরুর ক্রেতা মিলছে না। ফলে ক্রেতারা ইচ্ছামত দাম বলেছেন।কোনা উপায় না থাকায় খামারিরাও সে দামে গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। বুধবার হাটে গরু কিনতে এসেছেন রফিকুল ইসলাম । তিনি বলেন, ৪ মন ওজনের গরু কিনেছি ৭০ হাজার টাকায় গতবার ্্একই ওজনের গরু কিনেছি ৯০ হাজার টাকায় এবার পেলাম ৭০ হাজার টাকায়। এবার গরুর আমদানিও প্রচুর কম। এই হাটে চারটি গরু নিয়ে যশোর থেকে এসছেন শিবলী খান। তিনি বলেন, ইচ্ছা তো ছিল একেকটিা গরু ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকায় বেচব। আগের বছরেও এমন দামে বিক্রি করেছি। কিন্তু করোর কারনে এবারে ওই দাম পাব না । হাটটির ইজারাদার সোহরাব আলী বলেন, যে টাকার বিনিময়ে হাটটি কিনেছি এ বছর পশু বিক্রি কম তাতে যে ইজারা নেওয়া হচ্ছে এভাবে চললে ইজারার টাকা উঠবে না।