জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ শনিবার (২ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৯টায় রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাপা সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণে তাকে একবার লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়েছিল। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
খন্দকার জালালী বলেন, জিয়াউদ্দিন বাবলুর জানাজা আজ বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে রাখা হবে তার মরদেহ।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিকের পক্ষে প্রচারণা চালাতে পাঁচদিন তিনি সিলেটে অবস্থান করেন। পরে ঢাকায় ফিরে অসুস্থবোধ করলে তার করোনা পরীক্ষা করানো হয়।
পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হলে ৬ সেপ্টেম্বর তাকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে অবস্থার অবনতি হলে একদিন পর তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, বাবলু আগে থেকে অ্যাজমা ও হার্টের জটিলতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। করোনা শনাক্তের পর ফুসফুস মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়।
সাবেক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের শাসনামলে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। তিনি দুই দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এলএলবি সম্পন্ন করেন।
১৯৮১-৮৩ মেয়াদে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৮৫-৮৬ সালে শিক্ষা উপমন্ত্রী, ১৯৮৬-৮৭ সালে বন্দর ও নৌপরিবহন উপমন্ত্রী, ১৯৮৭ সালে অর্থ প্রতিমন্ত্রী, ১৯৮৭-৮৮ সালে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী ও ১৯৮৮-৯০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন বাবলু।