খবর বিজ্ঞপ্তি-খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান স্কুলের তত্ত্বাবধানে গ্লোবাল ফুড সামিট আইডিয়া এন্ড রিসার্চ কম্পিটিশন-২০২০ এর চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রায়হান আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত কম্পিটিশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও পুরস্কার বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন মানব সভ্যতার শুরু থেকেই ধাপে ধাপে খাদ্য চাহিদা পূরণে নানামুখী উদ্যোগ ও রূপান্তর সাধিত হয়েছে। ভবিষ্যতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে নতুন নতুন উদ্ভাবনা ও প্রযুক্তি আয়ত্তে আনতে হবে। এ লক্ষে কিছুদিন আগে থ্রিএমটি প্রতিযোগিতা, ওষুধের ক্ষেত্রে বিকল্প উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠান এবং এই গ্লোবাল ফুড সামিট আইডিয়া প্রতিযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের অব্যাহত প্রচেষ্টার স্বাক্ষর বহন করে। তিনি এই আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বিজয়ীরা হলেন প্রথম স্থান অধিকারী বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের ফবলিহা বাসাদ রোদোসি, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের রাহাগির সালিকিন এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের রমিসা নওসিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের পরিচালক প্রফেসর এ কে ফজলুল হক এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরিফ হাসান লিমন। এ সময় প্রতিযোগিতায় বিচারকদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমত কাদির, প্রফেসর ড. মোঃ আশিকুর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রউফ ও প্রফেসর মোঃ সানাউল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ব্যক্ত করেন প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আউয়াল। এছাড়া এ প্রতিযোগিতার সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল আহসান এবং সদস্য সচিব প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য, বিজয়ী তিনজন শিক্ষার্থী আগামী মার্চে জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। বাংলাদেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথম এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এবার আঞ্চলিক পর্যায়ে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন নিবন্ধনকারী প্রতিযোগীর মধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে ১২জন অংশগ্রহণ করে। এই ১২ জনের মধ্যে ৩ জন জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় সুযোগ পাচ্ছেন।