আন্তর্জাতিক ডেস্কঃজেরুজালেম উপত্যকার দক্ষিণে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সোমবার সকালে ইসরায়েলি কয়েকশ সেনা ও পুলিশ সদস্য বুলডোজার মেশিনে জেরুজালেমে দুই দেশের মাঝে বিভাজনকারী প্রাচীরের পাশে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ধ্বংস করে দেয়।
আন্তর্জাতিক বিশ্বের উদ্বেগ সত্ত্বেও জেরুজালেমে এসব বাড়িঘর ধ্বংস করছে ইসরায়েল। ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিনিধি জেরুজালেম থেকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর কয়েক ডজন সদস্য জেরুজালেমের সার বাহের এলাকার কমপক্ষে চারটি বাড়ি সিলগালা করে দিয়েছে। এই এলাকার পাশে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা প্রতিবন্ধক রয়েছে।
পরে ওই এলাকার দোতলা একটি ভবনের আংশিক ভেঙে ফেলা হয়। ওই এলাকায় বর্তমানে কোনো সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন এএফপির প্রতিনিধি। বাড়িঘর ভেঙে ফেলার সময় সেখানকার বাসিন্দাদের ঘরের ভেতর থেকে টেনে হেঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসে ইসরায়েলি বাহিনী।
জোর করে বের করে আনা এক ফিলিস্তিনিকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, আমি এখানেই মরতে চাই। ওই এলাকা থেকে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে তাদের বাড়িঘর ধ্বংস ও তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনিরা।
তারা বলছেন, জেরুজালেমের সার বাহের এলাকায় যেসব বাড়িঘর রয়েছে, সেগুলো ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি সরকারের চুক্তি অনুযায়ী নির্মিত এবং এসব বাড়িঘর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
পরিবারসহ হুমকি নিয়ে একটি ভবনে ছিলেন ইসমাইল আবাদিয়াহ। তিনি বলেন, এখন তারা গৃহহীন হয়ে পড়বেন। ইসমাইল বলেন, ‘আমাদের এখন রাস্তায় থাকতে হবে।’ তবে বাড়িঘর ধ্বংসের ব্যাপারে ইসরায়েলি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর কোনো মন্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
গত ১৮ জুন ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এক মাসের মধ্যে জেরুজালেমের সার বাহের এলাকার বাড়িঘর ধ্বংস করে দেয়া হবে বলে একটি নোটিশ দেয়। যদিও ওই এলাকায় এখনো অনেক ভবন নির্মাণাধীন।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়বিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ বলছে, ইসরায়েলি এই নির্দেশের ফলে সার বাহের এলাকায় নির্মিত এবং নির্মাণাধীন অন্তত ১০টি ভবন উচ্ছেদ হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কমপক্ষে ৭০টি অ্যাপার্টমেন্ট।