খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির এপ্রিল মাসের সভা আজ (রবিবার) সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষ থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
সভায় সিটি মেয়র বলেন, খুলনার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিকতা নেই। লকডাউনে খুলনার বাইরে থেকে আসা কাঁচামালের মোকামগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে দেওয়া যাবে না। লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের অকারণ ঘোরাঘুরি বন্ধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। খুলনা নগরীর বাইরে হতে জরুরি সেবা ও রোগী বহনকারী যানবাহন ছাড়া অন্য কোন যানবাহনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সন্ধ্যার পর দোকানপাট যেন খোলা না থাকে সে জন্য প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কার্যকর ভূমিকা রাখা দরকার।
সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান যে কোন মূল্যে খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি খুলনায় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সব ধরণের জনসমাবেশ পরিহারের আহবান জানান ।
সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, খুলনায় করোনাভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। টিকাদান কেন্দ্রে ভিড় এড়াতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকা গ্রহীতাকে টিকা নেওয়ার জন্য ফোনে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহীন বিন জামান বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আসন্ন রমজানে তারাবি নামাজের সময় মসজিদে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে অবহিতকরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। করোনাকালীন আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর ব্যস্ততার সুযোগে মাদকের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদেরকে সজাগ থাকতে হবে। এসময় আতঙ্কিত হয়ে বাজার থেকে অতিরিক্ত নিত্যপণ্য না কেনার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান জেলা প্রশাসক।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউসুপ আলী সভার শুরুতে বিগত মাসে খুলনা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তুলে ধরেন। সভায় জানানো হয় খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত মার্চ মাসে ১৬৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে যার সংখ্যা বিগত ফেব্রুয়ারি মাসে দায়ের হওয়া মামলা থেকে ২১ টি বেশি। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে মার্চ মাসে ১৭৭ টি মামলা হয়েছে যা বিগত ফেব্রুয়ারি হতে ২৩ টি বেশি।
সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা অনলাইনে যুক্ত হন।