খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির এপ্রিল মাসের সভা আজ (রবিবার) সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংসদ সদস্য বলেন, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে চাঁদাবাজি, মাদক ও সন্ত্রাসের যেন প্রসার না ঘটে। তিনি বলেন, খুলনায় উৎপাদিত তরমুজ পরিবহনে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। তিনি সরকারি উন্নয়ন কাজে সমন্বিত উদ্যোগ এবং পাইকগাছায় ডাকবাংলো ও যুবভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। এসময় শিবসা, বোয়ালিয়া ও চাঁদখালী সেতুর জন্য সংসদ সদস্য নতুন নাম প্রস্তাব করেন।
সভায় উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকা-সমূহ তথ্যবিবরণী ও ফিচারের মাধ্যমে গণমাধ্যমে তুলে ধরতে বিভিন্ন বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেন। নগরীতে শব্দ দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি ও ফুটপাথ দখলের বিষয়ে সভায় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, সাসটেইনেবল কোস্টাল ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলায় ৯টি খাল খননের কাজ চলমান রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান সেচ সুবিধা নিশ্চিতকরণে এসব খাল খননে জনপ্রতিনিধি এবং কৃষকদের সম্পৃক্ত করার অনুরোধ জানান।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলার সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম জানান, মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে বিগত মার্চ মাসে জেলায় ৩৫টি অভিযান পরিচালনা করে এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, খুলনায় রোজার মাসে প্রায় দুই লাখ মানুষের মাঝে সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির মাধ্যমে সুলভ মূল্যে তেল, ডাল, চিনি, ছোলা বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এটি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। তিনি জেলার চাষিদের উৎপাদিত তরমুজ পরিবহনের সুবিধার্থে দাকোপ-লাউডোব ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে নলকূপের পাশাপাশি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাদিকুর রহমান খান, সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।