মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩০জন কৃষক ও কৃষাণিদের নিয়ে মঙ্গলবার ও বুধবার (৪ অক্টবর) ২দিনের কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রশিক্ষণে বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন, উপজেলা সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ওয়ালিদ হোসেন, মোঃ আরাফাত জামিলসহ ৩০ জন কৃষক কৃষিণী উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, আমাদের পুষ্টি বা পারিবারিক সবজির বাগানে মওসুম ভেদে উৎপাদিত হচ্ছে বিভিন্ন রকমের সবজি। উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে রয়েছে ঢেঁড়শ, বেগুন, লাউ, লাল শাক, পুঁই শাক, কালমি শাক, পালং শাক, ডাটা শাক। এছাড়াও ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাঁজর, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন শীতকালীন বিভিন্ন সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। পুষ্টি বাগান করতে বাঁশ, বেত, বেড়া, সার ও বীজ দিয়ে কৃষি বিভাগ আমাদের সহায়তা করছে। বাড়ির পাশে খালি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চারা লাগিয়ে তা চাষ করছি। এতে সারা বছর সবজির চাহিদা মিটছে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এমনিতেই আমাদের হিমশিম খেতে হয়। সবজির বাজারেও সব কিছু দাম বেশী। তাই বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটাতে পেরে আমরা ভাল আছি। অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে বছরে ৩০/৩৫ হাজার টাকা আয়ও হচ্ছে। আমার পরিবারে পাঁচজন সদস্য রয়েছে। সকলে মিলে বাড়ির আঙ্গিনায় লাউ, ঢেঁড়শ, টমেটো, ঝিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এতে আমাদের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক যাদের দেড়শতক পতিত জমি রয়েছে তাদেরকেই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে বাগানগুলো পরিদর্শন করে কৃষি বিভাগ থেকে সহায়তা করা হচ্ছে।
ডুমুরিয়া উপজেলায় বেড়েছে পারিবারিক সবজি ও পুষ্টি বাগান। বিনা মূল্যে বীজ পেয়ে কৃষক বাড়ির আঙিনা ও আশপাশের এলাকায় বাগান করে লাভবান হচ্ছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনা পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে।
এসব পরিবারে শাকসবজি চাষ করে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রতি ইউনিয়নে ১০০ বাড়িতে মৌসুম ভিত্তিক খরিপ-১, খরিপ-২, রবি মৌসুমে এইকৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে বছরব্যাপি সার ও সবজির বীজ দেওয়া হবে।
তাদের মাঝে পুঁইশাক, গিমা কলমি, লালশাক, বেগুন,মূলা, বরবটি, ঝিংগা, পালংশাক, লাউ, শিম, মিষ্টি কুমড়া, করলা, ধনিয়াসহ ফলদ বৃক্ষ মাল্টা, পেয়ারা, কদবেল ও চুইঝালের বীজ বা চারা সরাবরাহ করা হয়। প্রত্যেক কৃষককে কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ ও সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বাড়ির আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি চাষ করে নিজের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় বিষমুক্ত সবজি চাষ বেড়েছে। তারা পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে ২টি ফলজের চারাও ৫রকমের ৫পেকেট সবজির বীজ ৩০জন কৃষক ও কৃষাণী কে বিনামূল্যে বিতরণ করেন।।