খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে বোরো চাষে স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। পৌষ-মাঘ এ দুই মাস বোরো ধানের চারা জমিতে রোপণ করতে হয়। এছাড়াও অনেক কৃষক বীজতলা ও জমি তৈরির কাজে ব্যাস্থ সময় পার করছেন। তবে তেলের দাম বাড়ায় বোরো চাষে অনেক কৃষক আগ্রহ হারাচ্ছেন।
কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায়, প্রায় সপ্তাখানেক আগে আমন ধান ঘরে তুলা সম্পন্ন করে আগাম বোরো ধানের চারা জমিতে রোপণ করছেন। চারা রোপণের পাশাপাশি বীজতলা ও জমি তৈরি করছেন তারা। তেলের দাম বাড়ায় বেশিরভাগ কৃষক বিপাকে পড়েছেন। গত বছরের তুলনায় এবার পানি সেচ ও হাল চাষে প্রতি ৩০ শতকে ৮০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় বোরো চাষে ৪ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি ভাবে উপজেলার প্রায় ২৩শ’ কৃষকদেরকে হাইব্রিড, উফশি ও সার দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার, ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রচন্ড শীতের মধ্যে আগাম জাতের বোরোধানের চারা রোপণ করছেন, অনেক কৃষক বোরো চাষের বীজতলায় পরিচর্যায় ব্যাস্থ সময় কাটাচ্ছেন।
আবার অনেকেই জমিতে হাল চাষ করাচ্ছেন। আগাম যারা বীজতলা তৈরি করছিলেন তাদের চারা জমিতে রোপণের কাজ করছেন। তবে একর প্রতি ২৫০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকা খরচ বাড়ায় অস্বস্তিতে বেশিরভাগ কৃষক। উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা কৃষক আব্দুল গনি গাজী বলেন, ৩ একর জমিতে বোরো ধান চাষ করছেন।
গত দুদিন ধরে জমিতে চারা রোপণ করছেন। সবকিছুর দাম বাড়ায় ধান চাষে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। উপজেলার শোভনা এলাকার কৃষক আব্দুল মজিদ সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, দুই একর জমিতে বোরোধান চাষ করবেন। চারা গাছ লাল হয়ে যাচ্ছে এ জন্য কীটনাশক স্প্রে করছেন। তেলের দাম বাড়ায় সেচ ও হাল চাষে অনেক খরচ বেড়েছে কিন্তু ধানের দাম বাড়েনি। চারার বয়স ৩০ থেকে ৪৫ দিনের ভিতরে রোপণ করবো। হাইব্রিড ও দেশি ধানের চারা তৈরি করছি।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, বোরোধান চাষ করার জন্য আমরা কৃষকদের কে সহযোগিতা ও উৎসাহ দিচ্ছি। এ উপজেলায় আগের তুলনায় বোরো চাষ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলার অনেক কৃষক আগাম জাতের বোরোধানের চারা রোপণ করতে শুরু করছেন। গত বছরের তুলনায় এবার খরচ কিছুটা বাড়লেও তেমন কোন সমস্যা হবেনা।