খুলনা ডুমুরিয়ায় কৃষি অফিসের বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে তাল,খেজুর, ফলজ,বনজ ও ঔষধি গাছের চারা, বীজ রোপন কর্মসূচি আওতায় রবিবার ও সোমবার দুই দিন ব্যাপী ডুমুরিয়া উপজেলার বসুন্দিয়া থেকে চটচটিয়া ব্রিজ পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তার পাশে ৫ শত তালেস বীজ রোপন করেন ও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ডুমুরিয়ার উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার পরানজয় মন্ডল। আত্র কালিকাপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, করুনা মন্ডল, এবং পার্শ্ববর্তী ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, তনয়া বিশ্বাস, এলাকার সমাজ সেবক ফারুক বিশ্বাস, খালিদ হোসেন সরদার ,মশিউর রহমান শেখ,ও রেহানা বেগম সহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য ডুমুরিয়াসহ সারাদেশে ৫০ লাখ বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করবে ‘বনায়ন’।
গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি, বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩-এ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশজুড়ে চারা বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছে দেশের বেসরকারি খাত পরিচালিত সর্ববৃহৎ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ‘বনায়ন’। বর্তমানে, দেশজুড়ে ২২টি’রও বেশি জেলায় পরিচালিত হচ্ছে ‘বনায়ন’ প্রকল্পের কার্যক্রম। বাংলাদেশ সরকারের সাথে একযোগে পরিবেশ দিবসে বনায়ন ২০২৩ সালে ৫০ লাখ গাছের চারা বিতরণ করার ঘোষণা দিয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় বনায়ন উদ্যোগের এই যাত্রার ৪৩ বছর পূর্ণ হচ্ছে ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে। বন বিভাগের দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৮০ সালে বনায়ন প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়।
এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য দেশজুড়ে ১৮টির বেশি নার্সারিতে এই চারাগুলো তৈরি করা হয়েছে। পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখতে এই কার্যক্রমের আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক ও অংশীজনদের এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি বনজ, ফলজ ও ঔষধি জাতীয় গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এই কর্মকান্ডকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কৃষকদের সহযোগিতায় ‘বনায়ন’ ১১৯টির ঔষধি বাগান তৈরী করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি-১৫ (স্থলজ জীবন) অর্জনে সরাসরি অবদান রাখছে বনায়ন। এছাড়া, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বৃক্ষ দ্বারা আচ্ছাদনে বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।