রবিবার (৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় ডুমুরিয়া উপজেলা শহীদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে কিশোরীদের মাসিক স্বাস্হ্য ও অভিজ্ঞতা বিষয়ক কোহর্ট স্টাডি সম্পর্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম, কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্য ও অভিজ্ঞতা বিষয়ক গবেষণা অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তাগন বলেছেন, নীতিগত পর্যায়ে ও সামাজিক চর্চার ক্ষেত্রে নারীদের মাসিক স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে সচেতনতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সম্পর্কিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জকে ঘিরে কোয়ালিটেটিভ গবেষণালব্ধ তথ্য থাকলেও কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর মাসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব প্রসঙ্গে সম্যক তথ্য-প্রমাণের স্বল্পতা রয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষাক ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, বাংলাদেশে কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্য ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত গবেষণা বিষয়ে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, বার্নেট ইনস্টিটিউট- অস্ট্রেলিয়া, জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং সহযোগী সংস্থা নবলোক যৌথভাবে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ‘দ্য অ্যাডোলেসেন্ট মেন্সট্রুয়াল এক্সপেরিয়েন্সেস অ্যান্ড হেলথ কোহর্ট (এএমইএইচসি)’ শীর্ষক এই গবেষণায় সময়ের সাথে সাথে মাসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক চাহিদার পরিবর্তন চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
গবেষণাটির লক্ষ্য ছিল কিশোরীদের অপূরণীয় মাসিক স্বাস্থ্য চাহিদার প্রভাব বিষয়ে স্পষ্টতা তৈরি করা ও শিক্ষার সাথে এর পারস্পরিক সম্পর্ক যাচাই করা। কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের ওপর মাসিক স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত ভিন্ন ভিন্ন সমস্যার প্রভাব বিষয়ে ধারণা গঠন করা।
কিশোরীরা শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, এমনকি শিক্ষাগত পারফর্ম্যান্সের ক্ষেত্রে মাসিকের সাথে সম্পর্কিত অব্যবস্থাপনার কারণে উদ্ভূত নানা ধরণের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়। গবেষণাটি কিশোরীদের জীবনে মাসিক সম্পর্কিত নানারকম প্রতিবন্ধকতার প্রভাব বিষয়ে গভীর ধারণা লাভের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এই গবেষণা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে আমরা মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্নতি করার বিষয়ে তথ্য- নির্ভর নির্দেশিকা লাভ করব।
গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলোকে কিশোরীদের জন্য বয়স-ভিত্তিক উপযুক্ত শিক্ষা ও কৈশোরকালীন সুস্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিতে কর্মসূচি গ্রহণ করতে সহায়তা করবে। এই কোহর্ট গবেষণার মাধ্যমে বিশেষত জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত অভ্যাস চর্চা বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত ফলাফল মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে নতুন নীতি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদী।
বক্তব্য দেন ব্রাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি প্রজেক্টের কডিনেটার আবুল জব্বার, সাবিনা ইয়াসমিন, টুম্পা, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন,শিক্ষক উলা মজিদিয়া ইসলামী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান, খর্নিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার চ্যাটাজী, আরশ নগর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মুখতার হোসেন, টিপনা শেখ আমজাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মতিয়ার রহমান,আটলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান আলী, সিদ্ধার্থ মল্লিক,প্রশান্ত কুমার মল্লিক, সৌমিত্র বিশ্বাস, মানিক রায়, মুকুন্দ মন্ডল, চন্ডিদাস মন্ডল মোহাম্মদ আব্দুল করিম, কাজল বাগাতি,মিরানা ইয়াসমিন প্রমুখ।