খুলনার ডুমুরিয়া সহ সাড়া দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্নআয়ের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে নিম্নআয়ের মানুষ যা আয় করছে, তার পুরোটাই জীবনধারণের জন্য; বিশেষ করে ন্যূনতম খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদির জন্য ব্যয় করার মতো অর্থ তাদের হাতে আর থাকছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সব থেকে বেশি কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন নিম্নবিত্ত, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী, প্রবীণ জনগোষ্ঠী ও নিম্নআয়ের মানুষ।
সাধারন মানুষের আয় যে হারে বেড়েছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। বাজারে চাল, ডাল, তেল, মশলা, পেঁয়াজ, শাকসবজি থেকে শুরু করে এমন কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই, যার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে না। কারণ একটাই, তা হচ্ছে বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে। একবার যে পণ্যের দাম বাড়ে, তা আর কমে না। শুধু কি তাই, এত উচ্চমূল্য দিয়ে যেসব দ্রব্য কিনছি তা-ও ভেজালে ভরা।
টিসিবির ট্রাক ঘিরে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ার চিত্র গত কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যমে আসছে। বেশকিছু ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানুষ পণ্য কেনার জন্য ট্রাকের পেছনে দৌড়াচ্ছে। ছুটন্ত এসব লোকজনের মধ্যে নারী, পুরুষ, যুবকসহ নানা বয়সীদের দেখা গেছে। আগে শুধু দরিদ্র মানুষদের টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে দেখা যেত, এখন মধ্যবিত্তরাও যোগ দিয়েছে সেই কাতারে।
দেশে দ্রব্যমূল্যের এমন ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি এবং মানুষের নাভিশ্বাসের বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের নানান যুক্তিতর্ক রয়েছে। তারপরও দ্রব্যমূল্য এভাবে বাড়তে থাকলে মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব আরও গভীর হবে এবং ভিন্ন মাত্রায় তার প্রকাশ ঘটতে পারে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করার একান্ত আহ্বান জানাচ্ছি ডুমুরিয়ার সচেতন মহল।