চলতি মৌসুমে ডুমুরিয়া আমনের ভালো ফলন হয়েছে। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশানুরূপ ফলনে কৃষকের মুখে যেন ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
আমন চাষে সেচ খরচ লাগেনা, সারের পরিমাণও কম লাগে। খরচ কম ও বাজার মূল্য ভালো থাকায় আমন চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে। দিগন্তজোড়া মাঠের সোন- গালি ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা। কেউ কেউ কাটা ধান আটি
বেঁধে মাথায় করে, কেউবা পরিবহনে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ১৫হাজার ৯শত ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এবার প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে রিলে পদ্ধতিতে আধুনিক ব্রি- ৮৭ ও বিনা ধান-১৭-৭৫ জাতের আমন ধান চাষ হয়েছিল। আধুনিক জাতের মন চাষ করতে প্রতিবিঘা জমিতে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা ব্যয় হয় এবং প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণ ধান উৎপাদন হচ্ছে। উৎপাদিত হক। ধান বিক্রি করে প্রায় ২১-২২ হাজার ও খর বিক্রি করেও প্রায় ৪ হাজার টাকা আয় করে কৃষক। এতে আমন ধান চাষে খরচ বাদে বিঘাপ্রতি প্রায় ১৫ হাজার টাকা লাভ হয় কৃষকের।
রিলে পদ্ধতিতে আমন চাষ করা কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্রি ৮৭, বিনা ধান-১৭ জাতের আমন আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রাসরণের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রিলে পদ্ধতিতে আমন চাষ করেছি। ফলে বোরো আবাদ শুরু হওয়ার আগের নিশ্চিন্তে সরিষার আবাদ ঘরে তুলতে পারবো। রিলে পদ্ধতিতে আমন ধান চাষ করে লাভবান হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা। আমন আবাদে পোকা- মাকড়ের ঝামেলা কম এবং রিলে পদ্ধতিতে আমন চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়তে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নানা রকম কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন। অপরদিকে, যারা দেশীও জাতের সাদা বায়াইল্যা, লাল বায়াইল্য, সাদা আশ্বিনা, লাল আশ্বিনা জাতের স্থানীয় আমন চাষ করেছে তাদেরও এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।