শেখ মাহতাব হোসেন :: ডুমুরিয়ায় ফুল কপি বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষক আবু হানিফ মুখে হাসি। চলতি মৌসুমে ফুলকপির ভালো ফলন হয়েছে। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় ফুলকপি চাষ করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন এ অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফুলকপি চাষ।
অনুকূল আবহাওয়া, সময়মত বীজ বপন ও সুষম সার ব্যবহারের এবার কফির ফলনও হয়েছে ভালো। এতে লাভের মুখ দেখছেন চাষীরা। এলাকার উৎপাদিত কপি চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ অঞ্চলের চাষীরা তাদের উৎপাদিত কপি এখন বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাজার দরও পাচ্ছেন ভালো। এতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে নানা প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝেও খুলনার ডুমুরিয়ার খর্নিয়ার আদর্শ কৃষক আবু হানিফ মোড়ল ৩৩শতক জমিতে ফুল কপির চাষ করে ১লক্ষটাকা চলতি মৌসুমে মুনফা অর্জন করেছে।তাহা ছাড়া তিনি রকমারী শীতকালীন সবজির আবাদ করেন।
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় ২৮০হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে ফুলকপি। অনুকূল আবহাওয়া, সময়মতো বীজ রোপন ও সুষম সারের ব্যবহারের ফলে এবার ডুমুরিয়ায় ফুলকপির বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলার কৃষকরা জানালেন, শীতকালীন সবজি ফুলকপি আবাদ করে ভালো লাভ হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজি চাষে ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠছে। তবে এ বছর নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝেও ফুলকপির আবাদ ভালো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বছর ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রায় ২৮০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি জমিতে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ফুলকপির ফলনও অনেক বেশিই হয়েছে। ফুলকপির ফলন ভালো হওয়ার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছ।