রবিবার খুলনার ডুমুরিয়ার বিল শিংগা পানি নিষ্কাশনের জন্য চহেড়া নদী থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদেরসাথে নিয়ে পলি অপসারণের চেষ্টা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডুমুরিয়া ফুলতলা খুলনা ৫আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অজয় সরকার। গতকাল তিনি নিজে দাড়িয়ে থেকে সেচ্ছাসেবকদের কাজ তদারকি করেন ও কর্মীদের জন্য শুকনা খাবার ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। উল্লেখ্য খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ৩নং রুদাঘরা ও ৪নং খর্নিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জনপদের দুঃখ খ্যাত বিল শিংগা বেশি এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। এই বিলের পানি নিস্কাষনের একমাত্র মাধ্যম চহেড়া স্লুইচ গেটের সামনে পলি জমে পানি বের হতে না পারায় এই অবস্থা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা সাত মাস ধরে চেষ্টা চালালেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, জলাবদ্ধতা দূর করতে তাঁরা কাজ করছেন। পানি নামতে শুরু করেছে। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য বড় পরিকল্পনা দরকার।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিল শিংগা অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের লক্ষ্যে খুলনা-যশোর নিষ্কাশন পুনর্বাসন প্রকল্পের (কেজেডিআরপি) আওতায় ১৯৯৯ সালে কোটি টাকা ব্যয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার চহেড়া নদীর মুখে বাঁধ দিয়ে ২ভেন্টের স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। ফলে জলাবদ্ধতামুক্ত হয় বিল শিংগা আশপাশের মানুষ এরপর থেকে ব্যাপক হারে চিংড়িঘের ও ঘেরের আইলে সবজি চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের মার্চে স্লুইসগেটের সামনে পলি পড়তে পড়তে একপর্যায়ে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। আবারও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বিলে। বর্ষায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ দিদার হোসেন প্রশাসনিক ও আর্থিকভাবে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে পলি নিষ্কাশনের চেষ্টা করেন; কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের খুলনা জেলা তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অজয় সরকার কে জানলে ডুমুরিয়ার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে খুলনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড তার মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ওই গেটের সামনে ১২০ মিটার লম্বা, ৫০ মিটার প্রস্থ ৪ মিটার পলি কেটে তুলতে কার্যাদেশ দেন। প্রথম থেকেই লোকাল ড্রেজার দিয়ে পলি তোলার কাজ শুরু করেন; কিন্তু তাতেও আশানুরূপ ফল না দেখে প্রায় প্রতিদিনই জলাবদ্ধ এলাকা থেকে শত শত মানুষ এসে নিজেরাই পলি অপসারণ করছেন। পাশাপাশি নিজেদের উদ্যোগে এক্সকাভেটর দিয়ে পলি তোলার কাজ করছেন।
পলি অপসারণ কাজে নিয়োজিত উপজেলার রূদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ বলেন, ‘গেটের সামনে থেকে যে পলি তোলা হচ্ছে, পরে জোয়ারের পানিতে তা নেমে অনেকাংশে আবার ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া গেটের ভেতরের পাশেও পলি পড়ে নদীর নাব্যতা হারিয়ে মাত্র ১ থেকে দেড় ফুট গভীরতা আছে। আমাদের বিল শিংগা মধ্যে পানি আছে ৫-৬ ফুট। তা হলে আমরা কীভাবে বাঁচব?’ উপজেলার চহেড়া গ্রামের সাধন মণ্ডল বলেন, ‘বিল শিংগা কোনো ঘেরের পাড় জেগে নেই। নেট দিয়ে কোনো রকমে মাছ রক্ষার চেষ্টা করছি, আর সবজি তো আগেই শেষ।