আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে সন্মার্নর্না প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল ইসলাম মানিক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রীনা রাণী মজুমদার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম ফিরোজ আহমেদ, জেলা পরিষদের সদস্য শোভা রাণী হালদার, ডুমুরিয়া উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম আশরাফ হোসেন, সমাজ সেবা অফিসার সুব্রত বিশ্বাস, শিক্ষা অফিসার শিকদার আতিকুর রহমান জুয়েল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন পারভীন রুমা, অনুষ্ঠান সার্বিক সঞ্চালনা করেন শিক্ষক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় মুসলিম সমাজে মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কোনো নিয়ম ছিল না। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও পরিবারের সবার অগোচরে তার বড় ভাইয়ের কাছে উর্দূ, বাংলা, আরবী ও ফারসি পড়তে এবং লিখতে শেখেন। তার জীবনে শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে তার ভাই ও বড় বোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। পরবর্তীতে বিহারের ভাগলপুরে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামীর উৎসাহে ও নিজের আগ্রহে তিনি লেখাপড়ার প্রসার ঘটান। বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বরে মারা যান। বেগম রোকেয়া ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো-মতিচুর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধ-বাসিনী। এই দিবসটি সরকারিভাবে পালিত একটি জাতীয় দিবস।