শেখ মাহতাব হোসেন:: খুলনার ডুমুরিয়য় পেঁয়াজের দুষ্প্রাপ্যতায় কদর বেড়েছে পেঁয়াজ কলির। এক সময় সালাদ হিসেবে ব্যবহার হলেও পণ্যটি এখন তরকারি রান্নায় ব্যবহার হচ্ছে। চাহিদা বাড়ায় জেলার বিভিন্ন বাজারে পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ডুমুরিয়ায় এবার ৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এ জমি থেকে ৩৭ হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। জেলায় স্থানীয় পর্যায়ে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন হয় খুব কম। বেশির ভাগ চাষী বাজার থেকে বীজ কিনে পেঁয়াজ আবাদ করেন। এ কারণে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ কলি বাজারে বিক্রি হয়। এ কলি কেটে নেয়ায় পেঁয়াজের ফলনও ভালো হয়।
চাষীরা জানান, কলি না কাটলে পেঁয়াজ বড় হয় না। এতে পেঁয়াজ পরিপক্ব হতে সময় বেশি লাগে। এ কারণে নিয়মিত পেঁয়াজ কলি কেটে ফেলা হয়। সালাদ হিসেবে এ কলির ভালো চাহিদা আছে। তবে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় এখন তরকারিতেও অনেকে পেঁয়াজ কলি ব্যবহার করছেন। জেলার হাটগুলোয় পেঁয়াজ কলির ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কলি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ আগে এ কলি সর্বোচ্চ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন উপজেলা জানান, ডুমুরিয়া য় যে পরিমাণ পেঁয়াজ চাষ হয়, তা দিয়ে স্থানীয় চাহিদা পূরণ হয় না। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় জেলার মানুষ রান্নায় পেঁয়াজ কলি ব্যবহার করছে। খুলনা শহরের বউবাজারের সবজি বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, পেঁয়াজ কলি ভালো বিক্রি হচ্ছে। তাই এ পণ্যের দামও কিছুটা বাড়তি।
ডুমুরিয়া কাঁচাবাজারের ক্রেতা আখতারুজ্জামান জানান, পেঁয়াজের দাম এমনিতেই বাড়তি। কয়েক দিন কম থাকার পর এখন আবার দাম বাড়ছে। এ কারণে পেঁয়াজ কলির ব্যবহার বেড়েছে। এ কলি ব্যবহার করে স্বাদ পাওয়া না গেলেও ভালো ঘ্রাণ পাওয়া যায়।