সোমবার সকাল ১১টায় ডুমুরিয়া টিপনা শেখ আমজাদ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি নিষ্কাশনের জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা ম্যাধমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। অল্প বৃষ্টি হলেই হাঁটু পরিমাণ পানি জমে মাঠে। পানি নিষ্কাশনের পরিকল্পতি কোনো ব্যবস্থা না করায় বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হয় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা। ফলে সব ধরনের খেলাধুলা ও শরীর চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টির খেলার মাঠে পানি থৈই থৈই করছে, সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ জলাবদ্ধতা। মাঠটিতে বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব। মাঠের চারপাশে গড়ে ওঠেছে সরকারী খাল ভরাট খাস জমি উপর মাছের ঘেরের ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা খেলাধুলা করতে পারছেন না। এছাড়া সেখানেও অল্প বৃষ্টিতে জমে পানি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মতিয়ার রহমান মোড়ল,হরিচাদ মল্লিক,এস এম দাউদ হোসেন, রনজিৎ কুমার মন্ডল, আতাউর রহমান সানা, কামরুজ্জামান, তাপস কুমার দাস, শ্যামল মল্লিক, প্রশান্ত কুমার রায়, মোছ তাসলিমা খাতুন, শেখ জাহতাব হোসেন,বি এম মিজানুর রহমান,রাখী অধিকারী, মোঃ আশরাফ হোসেন, মোঃ আসাবুর রহমান,জিএম সেলিম ও শামীমা বেগম প্রমুখ।
স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই খেলার মাঠটি জলাবদ্ধতা হয়। পানি অপসারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয় না। ফলে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিদ্যালয়ের এটি একটি বড় খেলার মাঠ। আমরা ছাত্ররা ছাড়াও টিপনা ,শিংগা, মেছাঘনা , উখড়া বাহাদুর পুর এলাকাসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকার ক্রীড়াপ্রেমীরা খেলাধুলা করে থাকে। কিন্তু মাঠটিতে পানি থাকায় এখন এসব কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, যেন দ্রুত খেলাধুলার উপযোগী করে তোলা হয়।
বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমিছা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনারা শুধু ভিডিও ও ছবি তোলেন, আমাদের সমস্যার সমাধান তো হয় না। সামান্য বৃষ্টি হলে হাটের পানি এসে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে হাঁটু পর্যন্ত জমা
হয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ কারণে আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমরা খেলাধুলা করতে পারি না, ভোগান্তিতে আছি।
এ বিষয়ে টিপনা শেখ আমজাদ ম্যাধমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান বলেন, মাঠের পানি অপসারণের জন্য ড্রেন বা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ঘের করে কেটে দিলে পানি নেমে যাবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ আল আমিন জানান, বিষয়টি জানলাম। মাঠের পানি অপসারণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।