শেখ মাহতাব হোসেন: খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ভারি বর্ষনের কারণে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশনের নেই কোন সুব্যবস্থা, পাউবো বলছে গবেষণা চলছে। স্থানীয়রা বলছেন দীর্ঘদিন ধরে ফ্লুইসগেট গুলোর কপাট বন্ধ রাখা ও শোলমারি নদী ভরাট হযয়ে যাওয়ার কারণে পানি সরবরাহ না হওয়া এই জলবদ্ধতা সৃষ্টির প্রধান কারণ।
ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর, রঘুনাথ কৃষ্ণ নগর, রামকৃষ্ণপুর গজেন্দ্রপুর, শাহাপুর, দেডুলী সহ গুটুদিয়া ইউনিয়নের লতা, খামারবাড়ি, আড়ঘাটা, পশ্চিম বিলপাবলা, বিলপাবলা, কুলটি পঞ্চ, মির্জাপুর সহ প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ এই জলবদ্ধতার কবলে পড়বে বলে শঙ্কিত জীবন যাপন করছে। এসব এলাকায় মানুষের বসতঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম।
এই জলবদ্ধতার কারনে হাজার হাজার একর আবাদি জমি অনাবাদি জমিতে পরিনত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এই মৌসুমে এসব এলাকায় আমন ধান চাষ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মৎস্য চাষীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দূর্ভোগ। উৎপাদন কমে গিয়েছে সবজি জাতীয় কাচা মালের। নানা মুখি সংকটের আশংঙ্খায় ভুগছে এ অঞ্চলের হাজারো শ্রমজীবী পেশার মানুষ। জলবদ্ধতার কারণে এ এলাকায় বেড়ে গিয়েছে নানান পানিবাহিত রোগ। এ অঞ্চলের অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্য পড়েছে হুমকির মুখে। এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি চেয়ে এ অঞ্চলের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা বলছেন এ সব এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমিতে ধান ও সবজি চাষ ব্যহত হচ্ছে।পানি পঁচে ঘেরের মাছ ও শাক-সবজি গাছ মারা যাচ্ছে। এই জলবদ্ধতা নিরসনে জরুরী ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিবে।
এ দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন,এ মৌসুমে হেক্টর ১০ জমিতে আমনধান, সবজি ও অপসিজেন তরমুজ পানিতে নিয়েজিত রয়েছে।