খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা নতুন রাস্তা মোড়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মেসার্স এস এ ট্রেডার্স প্রোপাইটার প্রতারক সন্দীপন স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ডাচ বাংলার রশিদ দিলেও সেই টাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকে জমা করেনি।
ডাচ বাংলার গ্রাহকদের আলেক শেখ জানান ১৬/১০/২০২১ তারিখে নিজ ৭০১৭৩২১৫৭০৯২২ একান্ড নাম্বারে ৩লক্ষটাকা জমা দিলে আলেকের নামে ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়ে ঐ টাকা এজেন্ট সন্দীপন তার নিজের নামে টাকা করেছে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি কালে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার আইসরা বাজার ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট অর্ধশতাধিক গ্রাহকের প্রায় এক কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় গ্রাহকরা। দ্রুত টাকা ফেরতসহ প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের। ভুক্তভোগী স্থানীয় গ্রাহকরা আলেক শেখ জানান, গত প্রায় ৩ বছর আগে খুলনা জেলা ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা বাজারে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা কার্যক্রম চালু করা হয় এবং স্থানীয় খর্নিয়া ইউনিয়ন বামুন্দিয়া গ্রামের নিশিকান্তের ছেলে মেসার্স এস এ ট্রেডার্স প্রোপাইটার সন্দীপন এজেন্টটি পরিচালনা শুরু করেন। হাতের নাগালে ব্যাংক থাকায় স্থানীয় লোকজন এ এজেন্টের মাধ্যমে একাউন্ট খুলে ডিপিএস, এফডিআর এ টাকা ।।সব প্রকার লেনদেন শুরু করে।
এদিকে ব্যাংকের এজেন্ট প্রতারক সন্দীপন স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ডাচ বাংলার রশিদ দিলেও সেই টাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকে জমা করেনি। স্থানীয় গ্রাহকদের কারো টাকা প্রয়োজন হলে নিজেই টাকা দিয়ে টিপসই নিয়েছে। আবার কখনও কোনো গ্রাহক তার জমানো টাকার হিসাব জানতে চাইলে ইন্টারনেট সমস্যা সার্ভারের সদস্যসহ নানা রকম ইস্যু দেখিয়ে তাদের আর হিসাব দেয়নি।
গত এক সপ্তাহ আগে ডাচ বাংলার শাখা বন্ধ করে উধাও হয়ে যান। পরে গ্রাহকরা খুলনা ডাচ বাংলা ব্যাংকের জোনাল অফিসে এসে তাদের একাউন্ট
হিসাব মিলাতে গেলে তাদের হিসাবে গড়মিল দেখা দেয়। এদিকে স্থানীয় গ্রাহকরা খুলনা জোনাল অফিসে এসে যোগাযোগ করলেও তারা এ বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। টাকা ফেরতসহ দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি গ্রাহকদের।
প্রতারণার শিকার গ্রাহক ও দোকান ব্যবসায়ী আলেক শেখ বলেন, আমিও ৩ লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রতারিত হয়েছি। ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংক খুলনা
অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এর পেছনে জড়িত। তা নাহলে মেসার্স এস এ ট্রেডার্স প্রোপাইটার সন্দীপন লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার সাহস পেতেন না।
আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও টাকা ফেরতের দাবি জানান তিনি।
গ্রাহক আফজাল হোসেন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করে ব্যাংকে টাকা রেখেছি।
তিনি এমন প্রতারণা করবেন বুঝতে পারিনি। প্রথম যখন টাকা জমা রাখি তখন মোবাইলে এসএমএস আসত। পরে ব্যাংকে টাকা জমা দিলে এসএমএস আসত না। এ বিষয়ে তাদের জানালে তারা বলতেন সার্ভার নষ্ট হয়েছে। এব্যাপারে ডুমরিয়া উপজেলা খর্নিয়া ইউনিয়নে টিপনা নতুন রাস্তা মোড়ে ডাস বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মেসার্স এস এ ট্রেডার্স প্রোপাইটার সন্দীপনের আলেক শেখের ৩ লক্ষ টাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান তার টাকার দরকার ছিল, তাই আলেক শেখের একাউন্টে টাকা জমা না দিয়ে তার নিজের নামে টাকা জমা করেছিলাম, আমার ভুল হয়ে গেছে,এমন কাজ আর করবো না।
এব্যাপারে ডুমরিয়া উপজেলা মাষ্টার এজেন্ট মাহাবুর রহমানের ০১৯৮২৩০০৯০০ মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি টিপনা নতুন রাস্তা মোড়ে ডাস বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট সন্দীপনের সাথে কথা বলেছি মেসার্স এস এ ট্রেডার্স প্রোপাইটার সন্দীপন বলেছেন আমি আলেক শেখ টাকা ব্যংকে তার নামে জমা না দিয়ে আমার নিজের নামে টাকা জমা করেছিলাম সে ৩লক্ষ টাকা বাজার কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম কে সাথে নিয়ে বাজার কমিটির সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে উক্ত টাকা ফেরত দিয়াছি।
এ ব্যাপারে খুলনা জোনাল অফিসের ডিজিনাল ম্যানেজার মোঃ কামরুজ্জামানের ০১৭১৩৪৩১৪১১ মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান খুলনা জোনে ডাস বাংলা ব্যাংকের কোনো প্রকারের অনিম দুর্নিতি হলে তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত হলে আইন গত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে খুলনা ডাস বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার তার ০১৭৭১৩৪০০৫৮২ মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার কাছে কোন লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ আসেনি, এখন অভিযোগ পেয়েছি আমি ডাচ বাংলা ব্যাংকের ডিজিনাল ম্যানেজার মোঃ কামরুজ্জামান কে নির্দেশ দিবো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।