নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে চার বছরের শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়াকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার চার আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সকালে সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আমলি আদালত-৩ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম আসামিদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোহেল উদ্দিন (২৪), সুজন (২৬), নাইমুল ইসলাম (২১) এবং আকবর হোসেন (২৬)। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার প্রধান আসামি রিমনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) মো. সবজেল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) আসামিদের নোয়াখালীর চরক্লার্ক থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মূল আসামি রিমন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিচ্ছে। এ কারণে তার রিমান্ড শুনানি এখনো হয়নি।
র্যাব-১১-এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে র্যাবের উপসহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে জেলার চরজব্বর থানায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাটি করেন। তারপর চরজব্বর থানা থেকে তাদের আদালতে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ এপ্রিল বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় বাবার কোলে থাকা শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া। গুলিবিদ্ধ হন শিশুটির বাবা সৌদি প্রবাসী মাওলানা আবু জাহেরও। গুলিতে তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন তাসপিয়ার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে রিমন, মহিন, বাদশাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে মামলার প্রধান আসামি শুটার রিমনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব- ১১। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।