চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবছর পেরোলেও পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া ৬৭ জনের মধ্যে তিনজনকে আজও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ফরেনসিক বিভাগের সামনে ডা. সোহেল মাহমুদ এ তথ্য দেন।
ডা. সোহেল বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগে ৬৭টি লাশ ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি লাশ প্রাথমিকভাবেই শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ২২টি লাশের মধ্যে ডিএনএ নমুনার মাধ্যমে ১৯টি শনাক্ত করা হয়। বাকি ৩টি লাশ আজও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এ চিকিৎসক বলেন, চকবাজার থানা পুলিশ ২০১৯ সালে বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢামেক মর্গে ৬৮টি লাশ ভর্তি ব্যাগ পাঠায়। একটি ব্যাগে শুধু লাশের হাত ছিল। এ হিসাবে লাশ ছিল ৬৭টি। তখন সবগুলোরই ময়না তদন্ত করা হয়। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৪৫টি লাশের চেহারা, জামা-কাপড় দেখে ও ১টির বুকের পুরাতন অপারেশনের সেলাই দেখে শনাক্ত করতে পারেন স্বজনরা। তাই সেগুলো হস্তান্তর করা হয়। বাকি ২২টি লাশ পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়ায় নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে ১৯টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
এ দিকে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এখনো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ডিএনএ রিপোর্ট আসতে ও ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক বদলি হয়ে যাওয়ায় রিপোর্ট জমা দিতে একটু বেশি সময় লাগছে।
চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কেমিকেল গোডাউন থাকায় মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৬৭ জন পুড়ে মারা যান। এছাড়া দগ্ধ ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।