মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ বিএডিসি’র ঝিনাইদহের মহেশপুর দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামারের ২কোটি টাকার ধানবীজ আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দুনীতি দমন কমিশন (দুদুক)। গত বুধবার দুপুরে দুদকের যশোর অঞ্চলের উপ-পরিচালক
মোঃ নাজমুস ছায়াদাত এর নেতৃত্বে একজন সহকারী পরিচালক দত্তনগর কৃষি খামারের অধীন গোকুল নগর, করিঞ্চা ও পাতিলা বীজ বর্ধন খামারের তিন উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এ সময় তদন্তকারী সহকারী পরিচালক মোঃ মোশাররফ হোসেন উল্লেখিত খামারের ধান উৎপাদন ও যশোর প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্রে পাঠানো সংক্রান্ত নথি পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করেন।
এছাড়া তিনি বর্তমানে কর্মরত ৫টি খামারের উপ-পরিচালক ও বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন।
উল্লেখ্যঃ গোকুল নগর খামারের উপপরিচালক তপন কুমার সাহা, করিঞ্চা খামারের উপ পরিচালক ইন্দ্রজিৎ চন্দ্র শীল ও পাতিলা খামারের উপ পরিচালক আকাতারুজ্জামান তালুকদার যশোর শেখহাটি বীজ প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. আমিন উদ্দিন এর যোগ সাজসে ২০১৮-১৯ উৎপাদন বর্ষে দত্তনগর খামারের আওতাধীন গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামার থেকে উৎপাদিত ১১৭ দশমিক ২৬০ মেট্রিক টন ও পাথিলা বীজ উৎপাদন খামার থেকে উৎপাদিত ৬৯ দশমিক ৫০০ মেট্রিক টন, মোট ১৮৬ দশমিক ৭৬০ মেট্রিক টন এসএল-৮ এইচ জাতের হাইব্রিড বীজ যশোর বীজ পক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে পাঠিয়ে আত্মসাত করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ
উঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।