চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে শেখ আবু নাসের হাসপাতাল বাইপাস লিংক রোডটি নির্মাণ করে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। এরপর অতিবাহিত হয়েছে ১০ বছর। কিন্তু এ দীর্ঘ সময়ে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে সড়কটি এখন চরম বেহাল অবস্থা ধারণ করেছে। বিভিন্ন স্থানে দুই পাড় ভেঙে পড়েছে, ভাঙন কবলিত ওই স্থানের ঠিক মাঝখানে পিঠ ডেবে খাল বা খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টির সময় ওই খাল দিয়ে অবাধ স্রোত প্রবাহিত হয়। এ অবস্থায় সড়কটি দিয়ে জনসাধারণের চলাচলে দারুণ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
কেডিএ সূত্র জানায়, ২০০৩-২০০৪ অর্থ বছরে শেখ আবু নাসের হাসপাতাল বাইপাস লিংক রোডটি নির্মাণের কাজ শুরু করে কেডিএ। এরপর ২০০৮-৯ অর্থ বছরে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। বর্তমানে ওই সড়কের আশপাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র বিশেষায়িত শেখ আবু নাসের হাসপাতাল, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর সেক্টর সদর দপ্তর, নৌ-বাহিনী ঘাঁটি (বানৌজা তিতুমীর), বিএনএন স্কুল এন্ড কলেজ, এ্যাংকরেজ স্কুল, নৌ-বাহিনী ভর্তি কেন্দ্র, নাবিক কলোনী, পুলিশ লাইন, মুজগুন্নী শিশু পার্ক, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রায়েলমহল (অনার্স) কলেজ, নগরস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ সরকারি- বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নগরীর বাইরে সহজ যাতায়াতের জন্য একমাত্র মাধ্যম শেখ আবু নাসের হাসপাতাল বাইপাস লিংক রোড। এছাড়া খালিশপুর, দৌলতপুরসহ নগরীর পশ্চিম পাশের সকল মানুষ নগরীতে প্রবেশ না করেই ওই সড়ক ব্যবহার করে শহরের বাইরে যেতে পারে। কিন্তু সড়কটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি দীর্ঘদিন। যার ফলে সড়কটি বর্তমান বেহাল অবস্থা ধারণ করেছে। বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন উঠে গিয়ে ছিটকে পড়ছে অন্যত্রে। আবার কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি স্থানে সড়কের পিঠ ডেবে গিয়ে খালের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সময় ওই খালে বিভিন্ন যানবাহন গিয়ে আটকা পড়ে। যার ফলে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আর জনসাধারনের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংস্কারের অভাবে সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে সড়ক দিয়ে যেতে গেলে খালে গিয়ে আটকা পড়ে গাড়ি। অনেক সময় ক্রেন দিয়ে ওইসব দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন তোলা লাগে। কোনো ভাবেই যানবাহন বা পথচারী নিরাপদ চলাচল করতে পরে না। ছোট-বড় দুর্ঘটনা প্রায় ঘটে। ফলে জনসাধারনের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
কেডিএ’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল মুকিম সরকার বলেন, আমি সম্প্রতি যোগদান করেছি। তাই বিষয়টি আমার নলেজে নেই। তবে প্রকৌশলীদের সাথে আলোচনা করে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।