দাকোপের তিলডাঙ্গা এলাকায় জমির উৎপাদিত ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল ৩টায় দাকোপ প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বটবুনিয়া এলাকার মতিয়ার রহমান সানার ছেলে আবুল কাসেম সানা বলেন, উপজেলার তিলডাঙ্গা মৌজার এস এ ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১১৯৩ ও ১৩৮৮ নম্বর দাগের মোট ১.৫০ একর জমি দেবব্রত কুমার বাছাড় ৭৬৯৯ নম্বর বন্দোবস্ত দলিল মূলে এবং ১৭ ও ১৭৩/ ৭৭-৭৮ নম্বর সেটেলমেন্ট কেসে একই এলাকার দেবব্রত কুমার বাছাড় প্রাপ্ত হয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছে। বিগত ১৪/১৫ বছর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালিন তিলডাঙ্গা এলাকার মৃত শিবেন্দ্রনাথ সরদারের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি সুরঞ্জন সরদার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গায়ের জোরে উক্ত জমি দখল করে নেয়। দেবব্রত বাছাড়ের মৃত্যুর পর তার ছেলে চন্দন বাছাড় ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে উক্ত জমিতে ভোগদখলের জন্য বিভিন্ন সময়ে গেলে সুরঞ্জন তার লোকজন নিয়ে চন্দনকে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। উক্ত জমি বি.আর.এস ১৫৮ নম্বর খতিয়ানে ১৪৭৪ দাগে ১.৫০ একর দেবব্রত বাছাড়ের নামে রেকর্ড এবং কর খাজনা পরিশোধ আছে। অতএব জমির প্রকৃত মালিক দেবব্রত বাছাড়। সুরঞ্জন উক্ত জমি দাবি করে যে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার কোন ভিত্তি নেই। চন্দন বাছাড় আমার বিশ্বস্ত ও কাছের লোক বিধায় উক্ত জমি রক্ষনা বেক্ষনের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়। কাসেম দাবি করে বলেন আমি বিভিন্ন দপ্তরে উক্ত জমি নিয়ে অভিযোগ দিলেও সুরঞ্জন তার পক্ষে কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। যে কারণে চন্দনের চাষ করা ফসলের কিছু অংশ কর্তন করেছি। সে আমাকে সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য বানোয়াট অভিযোগ এনে গত ২৫ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে যার কোন ভিত্তি নেই। চন্দন যাতে উক্ত জমাজমি শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করতে পারে সে জন্য প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন শহিদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে সুরঞ্জন সরদার বলেন, এই জমি আমি দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখল করে আসছি। তারা কখনো জমিতে ধান চাষ বা রোপন করতে আসেনি। তাদের অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। তা ছাড়া আমার কাগজ পত্র বৈধ কি না এক জায়গায় বসলে তার প্রমান দেবো।