অনলাইন ডেস্কঃখুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জীবন বিকাশের জন্য জ্ঞানার্জনের বিকল্প নেই। তাই শিক্ষার্থীদের একাগ্র চিত্তে জ্ঞানার্জন এবং অর্জিত জ্ঞান দ্বারা মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। জ্ঞানার্জনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এ বিষয়ে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।
সিটি মেয়র আজ সোমবার সকালে খুলনা সরকারি বিএল কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র সরকারি ব্রজলাল কলেজকে খুলনাঞ্চলের প্রথম ও অন্যতম বৃহৎ বিদ্যাপীঠ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এতদাঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। ১৯০২ সালে শিক্ষানুরাগী ব্রজলাল চক্রবর্তী যখন কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন তখন খুলনায় উচ্চ শিক্ষার কোন প্রতিষ্ঠান ছিল না। পরবর্তীতে দানবীর হাজী মহম্মদ মুহসীন তাঁর সৈয়দপুর এস্টেটের ৪০ একর জমি এই কলেজে দান করেন। কালের পরিক্রমায় বর্তমানে কলেজটিতে প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।
তিনি বলেন, উনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধে কলেজের শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং বহু ছাত্র-ছাত্রী দেশে বিদেশে নিজ নিজ কর্মের দ্বারা দেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে। সিটি মেয়র ব্রজলাল কালেজের রাস্তা, ড্রেন সংস্কার এবং কলেজ এলাকায় একটি ওভারব্রীজ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করে বলেন, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কেসিসি’র পক্ষ থেকে সম্ভব সব ধরণের সহযোগিতা দেয়া হবে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কে এম আলমগীর হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ভারতীয় দূতাবাসের খুলনাস্থ সহকারি হাই কমিশনার রাজেশ কুমার রায়না। অন্যান্যের মধ্যে কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান, খুলনা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. মো: এনায়েত আলী, খুলনা জুট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দৌলতপুর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, ছাত্রলীগ বিএল কলেজ শাখার সভাপতি মো: রাকিব মোড়ল ও সাধারণ সম্পাদক নিশাত ফেরদৌস অনি প্রমুখ বক্তৃতা করেন।অনুষ্ঠানে সিটি মেয়রকে স্মারক উপহার হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।