চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। স্বাধীনতা যখন সন্নিকটে তখনি হানাদার বাহিনী ‘৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মরণ কামড় দিয়ে জন্মের পূর্বেই বাংলাদেশকে মেরুদণ্ডহীন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। কারণ সেদিন ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্র“মুক্ত করা হয়েছিল। এসেছিল বিজয়; পেয়েছিলাম নিজস্ব পতাকা ও একটি স্বাধীন মানচিত্র। কিন্তু আজ স্বাধীন দেশেই ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে বিরোধী দল-মতের রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবীসহ এ সময়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা পরাধীন।
দলের নগর সভাপতি বলেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, আইনের শাসন নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই, শ্রমিকের পেটে ভাত নেই, রাষ্ট্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অর্থের নিরাপত্তা নেই, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই। চারিদিকে শুধু নেই আর নেই। আছে শুধু প্রতিহিংসার রাজনীতি। যে প্রতিহিংসার হিস্র শিকার বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে এ যুগের হানাদার সরকার স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চায়। কিন্তু জুলুমবাদ সরকারের সে দিবাস্বপ্ন পূরণ হবে না। অচিরেই দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে ইনশাআল্লাহ্। মুক্ত করা হবে এ যুগের বুদ্ধিজীবীদের, অবমুক্ত হবে বাক-স্বাধীনতা।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি’র এ কেন্দ্রীয় নেতা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিশেষ দোয়া মাহফিলের পূর্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করেছে নগর ও জেলা বিএনপি। এদিন সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। তার আগে দিবসের প্রথম প্রহরে গল্লামারীস্থ স্মৃতিসৌধে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি এড. এস এম শফিকুল আলম মনা, মনিরুজ্জামান মনি, শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, আমীর এজাজ খান, ডাঃ গাজী আব্দুল হক, শেখ মোশাররফ হোসেন ও অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম। আলোচনায় বক্তারা শহিদদের অসাধারণ অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন। আসাদুজ্জামান মুরাদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন মীর কায়সেদ আলী, এড. ফজলে হালিম লিটন, সৈয়দা রেহানা ঈসা, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শাহ জালাল বাবলু, এড. আব্দুল আজিজ, এড. শরিফুল জোয়াদ্দার খোকন, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, এড. মোল্লা মাসুম রশিদ, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মোঃ মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, এড. শহিদুল আলম, শাহিনুল ইসলাম পাখী, আজিজুল হাসান দুলু, এড. গোলাম মওলা, ইকবাল হোসেন খোকন, সাদিকুর রহমান সবুজ, মুজিবর রহমান, শেখ সাদী, খায়রুল ইসলাম জনি, সুলতান মাহমুদ, সাজ্জাদা আহসান পরাগ, একরামুল হক হেলাল, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নাজমুস সাকিব পিন্টু, শামসুল বারী পান্না, রাহাত আলী বাচ্চু, আঃ সালাম, তানভিরুল আজম রুম্মান, শেখ সারোয়ার, এনামুল হক সজল, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, নিঘাত সীমা, ইমতিয়াজ আলম, কাজী মাহমুদ আলী, নাছিমা আক্তার পলি, কওসারী জাহান মঞ্জু, আনজিরা খাতুন, মাহমুদা লাকি, মনিরা বেগম, সুজনা জলি প্রমুখ। সভা শেষে বুদ্ধিজীবী দিবসে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনার সাথে সাথে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তাঁর কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোসহ বিএনপি’র মরহুম সকল নেতা-কর্মীর জন্যও দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল মান্নান।